দাম বেড়েছে সবজি ও মাছের

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাজারে শাক-সবজি কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। কাঁচা মরিচের দাম ছাড়িয়েছে ১শ’। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। মাছের বাজারও চড়া। এ ছাড়া কোরবানির ঈদ ঘিরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মসলা। তবে ডাল, ভোজ্যতেল, মাছ-মাংসসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। নগরীর রূপসা, গল্লামারি, নতুন বাজার ও সন্ধ্যা বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
বাজারগুলোতে গতকাল প্রতি কেজি গাজর ৬০ টাকায় বিক্রি হয়, যা গত সপ্তাহে একই দাম ছিল। বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা। প্রতি কেজি শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৯০-১০০ টাকা বিক্রি হয়। পটল ৪০ টাকা, কুশি, ঝিঙে ও লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া-৩৫ টাকা, কচুরলতি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাঁচা মরিচ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ১শ’ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব সবজির দামও বাড়ছে। যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। নগরীর নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. খলিল বলেন, হঠাৎ করেই সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। চাষীদের খেতেই পণ্যের সংকট। তাই চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি।
এদিকে ভরা মৌসুমে নগরীর বাজারগুলোতে নেই পর্যাপ্ত ইলিশ। গতকাল এক থেকে দেড় কেজি ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার টাকা। ৭০০-৯০০ গ্রাম প্রতি জোড়া ইলিশের দাম পড়েছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। কিছুটা আকারে ছোট ইলিশ প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।
প্রতি কেজি রুই ও কাতলা ২৩০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি বড় আকারের চিংড়ি ৬শ’ টাকা, মাঝারি আকারের চিংড়ি সাড়ে ৪শ’ টাকা ও ছোট আকারের চিংড়ি ৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া কেজি প্রতি তেলাপিয়া ১৩০-১৪০ টাকা, দেশী কই ৬শ’ টাকা, সিলভার কার্প ১০০-১৩০ টাকা, পাবদা ৬শ’ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০-১৩০ টাকা, নলা ১২৫-১৩৫ টাকা ও সরপুঁটি সাড়ে তিনশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর রূপসা বাজারের মাছ বিক্রেতা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এখন বাজারে যে ইলিশের দাম হওয়ার কথা ছিল ২০০ টাকা সেটা এখন ৬০০-৭০০ টাকা। ক্রেতারা দাম জিজ্ঞেস করেই চলে যাচ্ছে। দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। ভরা মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও নদী ও সমুদ্রে সে হারে ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাই মোকাম থেকে বেশি দাম দিয়ে এনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
এদিকে কোরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মসলার বাজার তত উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। গতকাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে ১৮শ’৫০-১৯শ’ টাকায়। যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৫৮০ টাকা। দারুচিনি বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা। যা আগে বিক্রি হয়েছে ২১০ টাকায়। জিরা (টার্কি) ৪১০ ও ইন্ডিয়ান জিরা ৩১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫০ ও ২৮০ টাকা।
জোড়াকল বাজারে কাঁচা বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা এনায়েত উল্লাহ বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। কোরবানির ঈদ এখনও অনেক দিন বাকি। তবে এখন থেকেই মসলার দাম বাড়াতে শুরু করেছেন বিক্রেতারা। তাই নিত্যপণ্যের দাম যাতে সহনীয় থাকে এ জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে।