স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা নগরীর পিটিআই মোড় থেকে মৌলভীপাড়া মোড় পর্যন্ত খানজাহান আলী সড়কের একপাশ অত্যন্ত সরু। সড়কের দুই লেন সমান করতে প্রায় ৫ মাস আগে সড়কের মাঝের ডিভাইডার ভেঙে ফেলে কেসিসি নিয়োজিত ঠিকাদার। এরপর সড়ক বিভাগের বাঁধায় সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি সড়কের ডিভাইডারের কাজ নতুন করে শুরু করে ঠিকাদার। একদিন পরেই সেটি ভেঙে ফেলা হয়। বর্তমানে সড়কের মাঝখানে ভাঙা ইট সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশনের ‘গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পের আওতায় ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর আধুনিকায়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্কিটেক্ট ডিসিপ্লিনের একটি টিম ২২টি মোড় আধুনিকায়নের পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন সম্পন্ন করেছে এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পারভেজ ট্রেডিং ও স্পেস কনস্ট্রাকশন যৌথভাবে কাজটি বাস্তবায়ন করছে। গতবছর ২২ মে নগরীর পিটিআই মোড় থেকে এই কাজ শুরু হয়।
ইতোমধ্যে নতুন রাস্তা মোড়সহ বেশকিছু মোড়ের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ হয়। কিন্তু সড়ক বিভাগের আপত্তিতে আটকে যায় পিটিআই মোড়ের কাজ। পিটিআই মোড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের কথা থাকলেও সেটি সম্ভব হয়নি। এজন্য সড়ক ডিভাইডারও আধুনিকায়ন হয়নি। গত সপ্তাহে এই কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। কিন্তু কেসিসির অনুমতি ছাড়া এবং নকশার বাইরে গিয়ে কাজ করায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার আবার সেই ডিভাইডার ভেঙে ফেলেছে কেসিসি।
কেসিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী (প্লানিং) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অনুমতি ছাড়াই আগের নকশা অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ শুরু করে। সড়কের দুই লেন সমান করে ডিভাইডার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়ন করা মোড়গুলো হচ্ছে ময়লাপোতা মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজের সামনের মোড়, বয়রা বাজার মোড়, বয়রা মহিলা কলেজ মোড়, বৈকালি মোড়, গোয়ালখালি মোড়, নতুন রাস্তার মোড়, দৌলতপুর মহসীন মোড়, রয়্যাল মোড়, পিটিআই মোড়, টুটপাড়া কবরখানা মোড়, শান্তিধাম মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড় ও রেল স্টেশন মোড়, জোড়াগেট মোড়, নূর অপটিক্যাল মোড়, কেসিসি সুপার মার্কেট মোড়, কোর্ট মোড়, সদর থানা মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় ও ডাকবাংলো মোড়।