আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫–এর বিরোধী আখ্যা দিয়ে দেশটির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি তা নাকচ করে দেন। এর পর ইমরান খান দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে সুপারিশ করেন। কিছুক্ষণ পর তাই করেছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তিনি দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন।এখন প্রশ্ন উঠেছে ইমরান খান কি দেশটির সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। এ নিয়ে পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত দিয়েছেন।পাকিস্তানের সংবিধান বিশেষজ্ঞ আব্দুল মইজ জাফেরি বলেন, মিথ্যাকে বড় করুন, সহজ করুন এবং বারবার বলতে থাকুন। এর পর সবশেষে আপনি সংবিধান ছিঁড়ে ফেলতে পারবেন।পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন
মইজ জাফেরির ভাষায়, ‘ডেপুটি স্পিকার আজ যা করেছেন তা কেবলমাত্র সাংবিধানিক অনুচ্ছেদের অযৌক্তিক অপপ্রয়োগ নয়। একইভাবে এটি পিটিআইয়ের (ইমরানের দল) সদস্যদের সংবিধানের অপপ্রয়োগ এবন প্রকাশ্যে ভুল ব্যাখ্যা ও সংবিধানকে ভুলভাবে উপস্থাপনের বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি।দেশটির আইন বিশেষজ্ঞ মুনীব ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ডাক পুরোপুরি অসাংবিধানিক।রীমা ওমর নামে দেশটির আরেক আইন বিশেষজ্ঞ টুইট করে বলেছেন, ‘কোনো যদি এবং কিন্তু নয়, স্পিকারের রায় স্পষ্টভাবে অসাংবিধানিক।’ তিনি আরও লিখেছেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেওয়ার কোনো ক্ষমতা ইমরান খানের নেই।দেশটির আরেক আইন বিশেষজ্ঞ সালমান আকরাম দেশটির এক প্রাইভেট টিভি চ্যানেলকে বলেন, বিরোধীদের এখন উপায় হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া। অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের মতো তিনিও বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে এটি একটি সাংবিধানিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় স্পিকারের দেওয়া একটি অসাংবিধানিক রায়।’ ডন, জিও নিউজ।