মনিরামপুরের জয়পুর কোচবিলে ফসলী জমি ও বিল রক্ষা, পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থার দাবীসহ অবৈধ মৎস্য ঘের নির্মানের প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও এলাকাবাসী বিগত তিন মাস ধরে একের পর এক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও মৎস্য ঘের মালিকদের দীর্ঘদিনের বিরোধ মিমাংসার জন্য রবিবার (২৯ জুন) উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ইউএনও অফিসে ডাকেন। সে অনুযায়ী রবিবার বেলা ২টায় ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকবাসী তাদের দীর্ঘদিনের দাবী অবৈধ মৎস্য ঘের উচ্ছেদ করে বিলের জমি রক্ষা ও বিলের পানি নিষ্কাশনের পথ অবমুক্ত করনের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আসেন। কিন্তু ঘের মালিকরা উপস্থিত না হওয়ায় উপস্থিত কৃষকরা ইউএনও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। দাবী আদায় না ও হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারী বাড়ী ফিরে যাবেন না বলে হুসিয়ারী উচ্চারন করে ইউএনও অফিসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
উপস্থিত কৃষকরা জানান, উপজেলার ঢাকুরিয়া, ব্রাহ্মনডাঙ্গা, হুরগাতী, ভবানিপুর, জয়পুর গ্রামের হাজার হাজার কৃষকের একমাত্র সম্বল কোচর বিল। এই বিলে এক শ্রেণীর মুনাফাখোর অসাধু ব্যক্তি একের পর এক ফসলী জমি নষ্ট করে মৎস্য ঘের তৈরি করে চলেছে। ফলে ওই বিলের জমির মালিক ও কৃষকরা এই অবৈধ মৎস্য ঘের তৈরির কারণে দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের সরোয়ার হোসেনের ছেলে এনামুল কবীর (৩৫) ফসলী জমিতে অবৈধভারে মৎস্য ঘের নির্মাণ করেন। গত তিন মাস আগে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও এলাকাবাসী জয়পুর কোচরবিলের মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
আন্দোলনকারীদের দাবী অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসন অবৈধ ঘের নির্মাণ বন্ধের আশ্বাস দেন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের অভিযোগ অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন আজও মৎস্য ঘেরটি অপসারন করেননি।
প্রায় দুই ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি পালনের এক পর্যায়ে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নিয়াজ মাখদুম উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন পূর্বক এ বিষয়ে একটা বিহিত করার আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবস্থান কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেন।