/ মনিরামপুরে অর্ধশতাধিক বিষধর সাপের বাচ্চা ও ডিম উদ্ধার, চরম আতঙ্কে এলাকাবাসী

মনিরামপুরে অর্ধশতাধিক বিষধর সাপের বাচ্চা ও ডিম উদ্ধার, চরম আতঙ্কে এলাকাবাসী

মনিরামপুরে বিষধর সাপের উপদ্রব এখন এলাকাবাসীর জন্য এক নতুন আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। গত ৪-৫ দিনের ব্যবধানে উপজেলার তিনটি পৃথক জায়গা থেকে অর্ধশতাধিক বিষধর সাপের বাচ্চা, ডিম এবং বড় আকৃতির সাপ উদ্ধার হয়েছে। এতে করে স্থানীয়দের মধ্যে ভয়, উৎকণ্ঠা এবং নিরাপত্তাহীনতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত শুক্রবার বিকালে বাহিরঘরিয়া গ্রামের রবিণ বিশ্বাসের বসতভিটা খুঁড়ে ৪৩টি বিষধর কেউটে সাপের বাচ্চা এবং ১৮টি ডিম উদ্ধার করেন সাপুড়ে দ্রুব বিশ্বাস। কয়েকদিন ধরেই তার বাড়ির আশপাশে সাপ চলাচলের দৃশ্য দেখে আতঙ্কে দিন কাটছিল। নির্ঘুম রাত কাটানোর পর রবিবার সাপুড়ে ডেকে এনে ৪ ঘণ্টার অভিযানে উদ্ধার করা হয় সাপ ও ডিম।

এর আগে মনিরামপুর পৌর শহরের দক্ষিণ মাথা বাসস্ট্যান্ডে শফি নামে এক দোকানির চায়ের দোকানের সামনের সিঁড়ি থেকে একটি বড় কেউটে সাপ, ২৫টি সাপের বাচ্চা এবং ১৫টি ডিম উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দোকানপাটের আশপাশেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গত রবিবার সন্ধ্যায় খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের শিশুতলা মাদরাসার পাশে ডালিম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আবারো বিষধর ১৩টি গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা জানান, রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে কয়েকটি সাপ চলাচল করতে দেখে সাপুড়ে ডেকে আনা হয়। এরপর সকালে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় এসব সাপের বাচ্চা।

এই ধারাবাহিক উদ্ধার অভিযানে দেখা যাচ্ছে, জলাবদ্ধতা ও পুরনো মাটির ঘরে বিষধর সাপের আবাস তৈরি হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে এমন অল্প সময়ের মধ্যে তিনটি ভিন্ন স্থানে বিষধর সাপ ও ডিম উদ্ধার হওয়ায় পুরো এলাকায় এক অজানা ভয়ের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা বলেন, “বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে থাকতে হয়। প্রতিনিয়ত আশঙ্কা, কখন কোথা থেকে সাপ বের হয়ে আসে।” শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবাই যেন এখন আতঙ্কগ্রস্ত।