অনিমেশ মন্ডল, খানজাহান আলী থানাঃ নগরীর খানজাহান আলী থানাধিন মশিয়ালীর আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় পৃথক পৃথক ভাবে মোট ৫টি মামলা হয়েছে। মামলায় ২৫১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০১ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্র সাইফুলের পিতা সাইদুল শেখ বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় দায়ের করা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫/১৬জনকে আসামী করা হয় (মামলা নং-১২, তাং ১৮/৭/২০২০)। অপরদিকে ট্রিপল হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর হামলায় গণপিটুনীতে নিহত ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এস আই মো. হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় একটি মামলা করেন(মামলা নং-১৫ তাং-২৬/৭/২০২০)। মামলায় অজ্ঞাত ২০০/৩০০ গ্রামবাসীকে আসামী করা হয়। গণপিটুনিতে নিহত জিহাদের চাচা  মোকছেদ আলী বিজ্ঞ মহানগর হাকিমের আদালতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০/৪৫জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং আলোচিত থ্রি হত্যা মামলার আসামী জামিনের মুক্তি পেয়ে প্রায় দেড় বছর পরে মশিয়ালী গ্রামের ২২২জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪০জনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে একটি মামলা করেন  ট্রিপল হত্যা মামলায় প্রধান আসামী শেখ. জাকারিয়া বাদী হয়ে ১১৪জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০/২০জনকে আসামী করেন(সিআর নং ৬/২০২২) অপরটি তার ভাই এস এম জাফরিন হাসান বাদী হয়ে গ্রামের ১০৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০/২০জনকে আসামী করা হয়(যার সিআর নং ৩/২২) । ট্রিপল হত্যা মামলার প্রধান আসামী জাকারিয়া, জাফরিন ও মিল্টন আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে নিরিহ গ্রামবাসীর নামে মামলা দায়ের করে গ্রামবাসীকে হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মলিয়ালী গ্রাম আবারও অশান্ত করার চেষ্ঠা করার প্রতিবাদে সন্ত্রাস নিমূল কমিটি সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হত্যা,ধর্ষণ, মাদক,চাদাবাজী, জমিদখল, লুটপাটসহ বিভিন্ন মামলার অভিযোগ তুলে ধরে অবিলম্বে জাকারিয়া, জাফরিন, মিন্টনসহ বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে হত্যা সহ সকল মামলা দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবী জানায়। অপরদিকে এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় পিবিআই মশিয়ালী পুর্বপাড়া গ্রামের মৃত আজিজ শেখের পুত্র মো. রেজাউল  শেখ(৫০)কে সম্প্রৃতি আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
মশিয়ালী গ্রামে একটি মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই জাকারিয়া-মিল্টন-জাফরিন বাহিনী জন্ম দেয়। নির্মম নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনা এছাড়া মাত্তমডাঙ্গার সাইফুল(২৫) হত্যা মামলা, ছাত্তার শেখের পুত্রবধু হত্যা মামলা, আওয়ামী লীগ নেতা হামিদ সরদার, সাইফুল ইসলাম লিটুর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ লুটপাট, আব্দুল হালিম মাস্টার ও স্থানীয় মেম্বর বখতিয়ার পারভেজকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা হামলা, নুর আলমের বাড়ীতে বোমা হামলা, ইশা খা, মিটুল শেখ ও বাবু শেখের দোকান ভাংচুর, রিজাউলের ঘেরে একাধিকবার বিষ প্রয়োগ, ডালিম শেখ, শহিদ শেখ, মিজান শেখ, হাফিজুর সরদার, নাসির উদ্দিন গাজী ও আজাদ শেখকে শারিরিক নির্যাতন, মো. সবুজ, রফিক শেখকে চাপাতি হাতুড়ী দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্যাতন, মো. রাজিব শেখ, আব্দুল হক শেখ, রেহেনা বেগমকে শারিরিক নির্যাতন, গোলাম মোস্তফা, গোলাম আলি, আতিয়ার রহমানে নির্যাতন করে নিজ ভিটা থেকে উচ্ছেদ, আনছার শেখ, সাজেম শেখ ও ইসমাইল হোসেনের জমি দখল, তুহিন শেখ, সাইদুল শেখ, মো.শোভন মোল্যা, মো. জাকির, পিন্টু সরদারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা করার অভিযোগ জাকারিয়া-মিল্টন ও জাফরিন তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু চলতি বছরের ৪ জানুয়ারী আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে কিছু ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে হাত করে পুর্বের মতো হুমকি-ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মশিয়ালী গ্রামকে উত্তপ্ত করে তুলছে। জাকারিয়া-মিল্টন-জাফরিন জেল থেকে বেরিয়ে আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেছে যাতে গ্রামের নিরিহ দুইশত বাইশ জনকে আসামী করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে নিরিহ গ্রামবাসিকে গ্রেফতার বন্ধ এবং আবার যাতে এই সন্ত্রাসীবাহিনী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য দ্রুত বিচার কার্য সম্পন্ন করে শাস্তির দাবী জানান।