রয়েল মোড় থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত ১.৮৬ কিলোমিটার সড়কে পাথর
উঠে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, কয়েকটি স্থানে তৈরি হয়েছে গর্ত
এ এইচ হিমালয়: ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর শেষ হয়েছে নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে রয়েল মোড় পর্যন্ত কেডিএ অ্যাভিনিউয়ের সংস্কার কাজ। ১ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি কাপেটিং (বিটুমিনের প্রলেপ) করতে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। গত ২০ মে কাজের পুরো টাকাই তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার। এর দুই মাস পরেই বেহাল হয়ে পড়েছে সড়কটি।
সম্প্রতি নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে রয়েল মোড় পর্যন্ত সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের তেতুলতলার মোড়, কাচ্চি ভাইয়ের সামনে, ময়লাপোতা, সাতরাস্তা মোড়সহ কয়েক স্থানে ছোট পাথরের স্তর উঠে গেছে। এতে মটর সাইকেল চালকরা দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া শিববাড়ি, সাতরাস্তা ও রয়েল মোড়ের কয়েকটি স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে। রয়েল মোড়ে গর্ত তৈরির পেছনে বৃষ্টির পানি জমে থাকাকে দায়ী করছেন কেসিসির প্রকৌশলীরা। তবে পানি না জমলেও অন্যান্য স্থান কেন গর্ত তৈরি হলো -সে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকভারি’ নামের প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা দিয়ে সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে। সড়কটি সংস্কার করতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রহমান অ্যান্ড ব্রাদার্সকে কার্যাদেশ দেয় কেসিসি। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর তারা কাজ শেষ করে। মাত্র ৯ মাসের মাথায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এলাকার মানুষ।
সূত্রটি জানায়, ঠিকাদারি কাজের বিল থেকে ১০ শতাংশ টাকা জামানত হিসেবে রেখে দেওয়া হয়। একবছরের মধ্যে সড়ক নষ্ট হলে ওই সড়ক মেরামতের দায়িত্ব ঠিকাদারের। ঠিকাদার সড়ক সংস্কার না করলে জামানত থেকে কেটে রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কেসিসির পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগ দেখা যায় না।
এ ব্যাপারে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, কোটি কোটি টাকা দিয়ে সংস্কার করা সড়ক যদি ৯ মাসেই নষ্ট হয়ে যায়, এর দায় কেসিসি এড়াতে পারে না। সড়ক সংস্কারের জন্য জড়িতদের শাস্তি এবং ওই ঠিকাদারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কের কয়েকটি স্থান দ্রæত নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে। বৃষ্টি কমলে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক মেরামত করে দেবে।