খুলনা জেনারেল হাসপাতালের
করোনা টেষ্টের টাকা আত্মসাৎ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট(ল্যাব:) প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের ব্যাপারে এখনও মামলার অনুমতি পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এছাড়া ওই ঘটনা তদন্তের জন্য বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের তদন্ত কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ সোমবার। গতকাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে তদন্ত সময়ের মেয়াদ বাড়ানোর মৌখিক আবেদন জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ।
এদিকে, বিগত ২৫ দিন অতিবাহিত হলেও এমটি(ল্যাব:) প্রকাশ কুমার দাসের কোন সন্ধান মেলেনি। পরিবারসহ কারও সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে তিনি কিভাবে এতোদিন গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন সেটি নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। অথবা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে থাকা উন্নত প্রযুক্তিকে হার মানিয়ে হয়তো প্রকাশ গোপনে ঠিকই তার পরিবার ও ঘনিষ্টজনদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন এমন মন্তব্যও অনেকের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রকাশের বিরুদ্ধে করোনাকালীন সময়ে বিদেশগামীদের করোনা টেষ্টের জন্য আদায়কৃত ইউজার ফি থেকে ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি প্রমাণিত হয় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কাম সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে। ওই ঘটনার পর প্রকাশকে টাকা পরিশোদের জন্য চাপ দেয়া হলে গত ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে তিনি গা ঢাকা দেন। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর সিভিল সার্জন নিজে বাদী হয়ে কেএমপির খুলনা থানায় প্রকাশের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রী করেন। পরদিন দুদকের কাছে দেয়া হয় লিখিত অভিযোগ। এছাড়া সিভিল সার্জন কেএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দিয়ে প্রকাশ যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সে আহবানও জানান। দুদকের কাছে দেয়া অভিযোগটি জেলা কার্যালয় থেকে ঢাকায় পাঠানো হয় ২৮ সেপ্টেম্বর। দুদকের নিয়ম অনুযায়ী কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে কেন্দ্রীয় দপ্তরের অনুমোদনের পরই মামলা করে তদন্ত করা হয়। খুলনা জেনারেল হাসপাতালের এমটি(ল্যাব:) প্রকাশ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধেও মামলা করার অনুমোদন চাওয়া হয় কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু গতকাল রোববার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় দপ্তরের কোন অনুমোদন মেলেনি বলে খুলনা দুদকের উপপরিচালক মো: নাজমুল হাসান জানান।
অপরদিকে, এ ঘটনায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। কিন্তু এখনও তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এজন্য কমিটির পক্ষ থেকে গতকাল রোববার মৌখিকভাবে সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: জসিম উদ্দিন হাওলাদার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কমিটির পক্ষ থেকে আজ সোমবার মেয়াদ বৃদ্ধির লিখিত আবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের তদন্ত কমিটির কন্ডাক্টিং অফিসার ও উক্ত দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমএম জাহাতাব হোসেন বলেন, আরও ১৫ দিনের সময় চেয়ে আজ লিখিত আবেদন দেয়া হবে।