বিকেএসপির বড় ভাই, দলেরও সিনিয়র ক্রিকেটার। মুশফিকুর রহিমের সামনে তাই মুমিনুল হকের নেতৃত্ব উদ্ভাসিত নয় কতৃ‌র্ত্বের সুরে।পোর্ট এলিজাবেথে প্রথম ইনিংসে দৃষ্টিকটুভাবে রিভার্স সুইপ খেলে আউট হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিক। লাঞ্চের তখন বাকি ছিল মাত্র ৪ মিনিট। গত বছর বিশ্বকাপেও এই শটে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। হুট করেই সুইপ খেলার এই প্রবণতা তার নিজের ইনিংসের অপমৃত্যু ডেকে এনেছে, দলকেও খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছে। সমালোচনায় জেরবার হলেও এই শট বারবারই খেলছেন মুশফিক।

অগ্রজ’র জন্য সোমবার (১১ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে অদ্ভূতুড়ে অনুরোধই করলেন মুমিনুল। ম্যাচের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, এই শট খেলা নিয়ে যেন প্রশ্ন করা না হয়। প্রশ্ন করাটা না কি দলের জন্য, দেশের জন্য খারাপ। মুশফিকের কাঁধে হাত রাখতে গিয়ে নিজেকেই বিতর্কে ফেললেন মুমিনুল।

প্রথম ইনিংসে ৫১ রান করার পর রিভার্স সুইপ খেলে আউট হন মুশফিক। সোমবার দ্বিতীয় ইনিংসে ১ রান করেই ফেরেন তিনি। অগ্রজ’র রিভার্স সুইপ শট নিয়ে প্রশ্নে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘উনার টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি যেখানেই হোক, রিভার্স সুইপ তো ক্রিকেটের একটা শট, তাই না? বাইরের কিছু না। এই শট খেলতেই পারেন, উনার প্ল্যানে থাকলে তো খেলবেনই। এমন না যে এটা খেলে এর আগে রান করেনি বা সফল হননি। আমি উনাকে সাপোর্ট করি এটা নিয়ে।’

বারবার এমন প্রশ্নে যেন বিরক্ত মুমিনুলই। তাই অনুরোধ রাখলেন সাংবাদিকদের কাছে, ‘এটাতে সফল হয়েছেন উনি আপনিও দেখেছেন, আমিও দেখেছি। আপনাকে অনুরোধ করব, জিনিসটা নিয়ে যদি অনেক বেশি জোর দেন আপনারা, বাংলাদেশ টিমের জন্য খারাপ, দেশের জন্য খারাপ, উনি তো এই শটটা খেলে সফলও হন।’

ক্যারিয়ারে ৮০ টেস্ট খেলা একজন ক্রিকেটার যখন ব্যাটিংয়ে নবিশ আচরণ করেন, তখন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। সতীর্থকে আগলে রাখাও অধিনায়কের দায়িত্ব। কিন্তু বড় ভাই হলেও তার ভুলটাকে স্বীকার করতে হবে, মুমিনুল যত দ্রুত এটা বুঝবেন, তত দ্রুতই অধিনায়ক হিসেবে তিনি পরিণত হবেন।