২০৪০ সালের মধ্যে কার্গো হ্যান্ডলিং
৪৭ মিলিয়ন টনে উন্নীত করার টার্গেট

স্টাফ রিপোর্টার ঃ পদ্মা সেতু, মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেল সংযোগ এবং সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হলে মোংলা বন্দর হবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। তখন বন্দরে ওপর চাপ বেড়ে যাবে। এজন্য দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং বন্দরের সক্ষমতা বিকাশে ২১০০ সাল থেকে সামনে রেখে ‘কৌশলগত মাস্টার প্লান’ তৈরি করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে এই কাজ শুরু হলেও করোনা সংক্রমণের কারণে মাঝে দীর্ঘ সময় কাজ বন্ধ ছিলো। সম্প্রতি পরামর্শক সংস্থা খসড়া প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
কৌশলগত মাস্টার প্লান বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং ২৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন, ২০৪০ সালে ৪৭ দশমিক ৪ মিলিয় টন এবং ২১০০ সালে মোংলা বন্দরের ১০০ মিলিয়ন টনে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘কৌশলগত মাস্টার প্লান’ এর বিষয়ে অংশীজনদের মতামত নিতে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রথম দিনের কর্মশালা গতকাল বুধবার নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। দ্বিতীয় দিনের কর্মশালা আজ মোংলায় অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনীতিতে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব রয়েছে। কৌশলগত মাস্টার প্লান দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনা ও এর সক্ষমতা বিকাশের রোডম্যাপ। মাস্টার প্লানে যে গাইডলাইন রয়েছে তা এককভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। মোংলা বন্দরের উন্নয়নের অংশীদার বিভিন্ন বিভাগের পরামর্শ মাস্টার প্লান বান্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, মোংলা বন্দরের মাস্টার প্লানের মূল লক্ষ্য হলো জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার সাথে সংগতি রেখে কৌশলগত উন্নয়ন অর্জন। এই লক্ষ্যে ২১০০ সালে ডেল্টা প্ল্যান অর্জন, যাতে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এই বন্দর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (ইঞ্জিন ও উন্নয়ন) এর সদস্য মোঃ ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত জানান মাস্টার প্লানের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাবেয়া রউফ। কর্মশালায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (কুয়েট) এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. কাজী হামিদুর বারী। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মোংলা বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী এসকে শওকত আলী ও জার্মানির কনসালট্যান্ট ইনরোস ল্যাকনার এসই। কর্মশালায় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বন্দরের কর্মকর্তা, সিবিএ, বন্দর ব্যবহারকারী ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।
শুরুতে পরামর্শক সংস্থার ইনরোস ল্যাকনার এসই এবং তাদের অংশীদার স্ট্রাটেজিক প্লানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টবন্দর ব্যবহারকারী সকল স্টেকহোল্ডার এবং ক্লায়েন্টদের কাছে মাস্টার প্ল্যানটি উপস্থাপন করেন।