নিজস্ব সংবাদদাতা, মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট): বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বেড়িবাঁধের জমি দখলে মরিয়া একটি প্রভাবশালী মহল। প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসি। এ ঘটনায় তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের শ্রেনীখালী মুন্সিরহাট সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক ২০১০ সালে শ্রেনীখালী স্লুইসগেট হয়ে সোনাখালী-পঞ্চকরণ অভিমুখী প্রায় ১০ কিলোমিটার এ বেড়িবাঁধের কাজটি চলমান রয়েছে। গত ৩/৪ পূর্বে শ্রেনীখালী স্লুইসগেট সংলগ্ন একটি অংশে জমিতে রাতারাতি বাঁশ খুটা নেট দিয়ে ঘেরা বেড়া দিয়ে দখলে নিয়েছে স্থানীয় ও বহিরাগত প্রভাবশালী একটি মহল। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে তারা গত ৪/৫ বছর ধরে স্লুইসগেট এলাকায় খানা খন্দ ভরে ৬টি দোকান নির্মাণ করে ক্ষুদে ব্যবসা করে আসছে। ওয়াপদা বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ওই স্থান থেকে তাদের দোকানগুলো সরিয়ে দেয়। চলমান কাজটি শেষ হতে না হতেই একটি প্রভাবশালী মহল রাতারাতি একটি বৃহত অংশ জুড়ে দখলে নিয়েছে। যাদের পূর্বে দোকান ছিলো সরকারিভাবে ওই জমি লিজ প্রাপ্ত হলে পূর্বে ওই স্থানে যাদের দোকান ছিলো তারাই প্রাপ্য দাবি করেন ওই ব্যবসায়ীরা।
শহিদুল ইসলাম খান, সোবাহান শেখ, তোফাজ্জেল শিকদার, সোহেল শেখ, মহারাজা হাওলাদারা, সাবেক ইউপি সদস্য মহিদুল ইসলাম, হায়দার ফরাজী বলেন, ওয়াপদা বেড়িবাঁধে দিনমজুর শ্রেনীর কয়েকটি পরিবার ছোটখাটো ব্যবসা করে দিনযাপন করতেন। তাদের ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ থাকায় দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ওই জমি সরকারিভাবে লিজ প্রদান করলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দেওয়ার দাবি জানান তারা। পাশাপাশি রাতারাতি সরকারি জমি যারা দখলে নিয়েছে তাদের উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, বেড়িবাঁধের জমিতে কোন লিজ দেওয়ার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কেউ যদি সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে থাকে। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।