/ মোরেলগঞ্জে কাঠের পুল ভেঙে খালে, ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি চরমে

মোরেলগঞ্জে কাঠের পুল ভেঙে খালে, ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি চরমে

সংস্কারের ২ বছর যেতে না যেতেই ভগ্নদশা, হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল

এম. পলাশ শরীফ: মোরেলগঞ্জঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হোগলপাতি মাদ্রাসা সংলগ্ন বারইখালী-নিশানবাড়িয়া সংযোগ খালের কাঠের পুলটি সংস্কারের ২ বছর যেতে না যেতেই পুল ভেঙে খালে। ৫ ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষের চলাচলে ভোগান্তি এখন চরমে। স্থানীয়দের দাবি জনগুরুত্বপূর্ণ এ সংযোগ খালের ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণের।
শনিবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ও বারইখালীর ইউনিয়নের নির্মিত কাঠের পুলটি ভেঙে পড়ায় ৪ মাস ধরে চলাচলে সিমান্তবর্তী ৫ ইউনিয়নে হোগলপাতি, তেতুলবাড়িয়া, ভাষানদল, গোয়ালবাড়িয়া, তাফালবাড়িয়া, পশ্চিম সরালিয়া, উত্তর সুতালড়ী, জামিরতলাসহ ভাষান্ডা, গাবতলা ও শেখপাড়াসহ ১১টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ পুলটি থেকে প্রতিদিন তেতুলবাড়িয়া বাজার, এইচভিএস হাজী নূরউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা, ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি হাই স্কুল, হেফজখানা, ৫টি মসজিদ, ইসলামি পাঠাগার, ইউনিয়ন ভূমি অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় যাতায়েত ভোগান্তি হচ্ছে। এ কাঠের পুলটি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে স্থানীয় সংসদ সদস্যর বরাদ্দকৃত অর্থ বরাদ্দে নিশানবাড়িয়া ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জামাল হোসেন সংস্কার করলেও তা দুই বছর যেতে না যেতেই ভেঙে পড়ে পুলটি। বর্তমানে এ পুলটি থেকে ঝুঁকি নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে অনেকে এখনো চলাচল করছে। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসছে পাঠদানে। কথা হয় শিক্ষার্থী ইভা, জাবের, সাথী, রাব্বি বলেন, পুলটি এখন মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান, তিনি পুল পেরিয়ে আসার সময় পাশ্ববর্তী খালে পড়ে গিয়ে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। পারাপারের সময় যাত্রী নিয়ে খালে পড়ে যায় একাধিক মোটরসাইকেল চালক।
বারইখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু সালে রফিক, ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম জানান, পুলটি ২ বছর পূর্বে মেরামত করা হয়েছিলো। এখন পুনরায় ভেঙ্গে পড়ায় মানুষের চলাচলে অভাবনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে জরুরীভাবে ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানান তারা।
মাদ্রাসা সুপার আব্দুল লতিফ, সহ-সুপার মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, বুরহানে সুলতান জানান,পুলটি ভেঙে পড়ায় ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অভিভাবকরা ছেলে মেয়েদের ক্লাসে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। গুরুত্বপূর্ন এ সংযোগ খালটিতে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের ভোগান্তি আর থাকবে না।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, নিশানবাড়িয়া-বারইখালীর সংযোগ খালের কাঠের পুলটি ভেঙ্গে পড়ে দুর্ভোগের বিষয়ে ইতোমধ্যে তিনি যেনেছেন। পুলটি সংস্কারের জন্য এডিপি থেকে বরাদ্দ হয়েছে। ২/১ দিনে কাজ শুরু হবে। এ ছাড়াও ওই স্থানে একটি ব্রীজের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।