প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ উপকূলীয় এলাকায় টেকসই রিং বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে এবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করলেন বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ, সন্নাসী ও ঘষিয়াখালী এলাকার মানুষ। ঢাকায় অবস্থানরত ওই এলাকার মানুষ গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধনের মাধ্যমে এ দাবি জানান। সন্নাসী, মোড়েলগঞ্জ ও ঘষিয়াখালী টেকসই রিং বেড়িবাঁধ বাস্তবায়ন নাগরিক পরিষদের ব্যানারে এ মানব বন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকা মোড়েলগঞ্জের সন্নাসী ও ঘষিয়াখালী সিডর, আইলা, আম্ফান ও ইয়াসসহ বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ে প্রতিনিয়ত ক্ষতির মুখে পড়ে। বিশেষ করে ওই এলাকায় নদী ভাঙ্গনরোধে যেমন কোন ব্যবস্থা নেই তেমনি দীর্ঘদিনেও সেখানে কোন প্রকার ওয়াপদার বেড়িবাঁধ হয়নি। শুধুমাত্র ষাটের দশকে মাটির রাস্তা তৈরি হলেও তা নদী ভাঙ্গনে ভেঙ্গে যায়। হাজার হাজার পরিবার আজ নি:স্ব। সর্বশেষ ইয়াসে এলাকার প্রায় সকল বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কয়েকদিন ধরে পানির নিচে থাকে।
বক্তারা আরও বলেন, শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগই নয়, ঘষিয়াখালী, সন্নাসী, মোড়েলগঞ্জের নদী তীরবর্তী মানুষ প্রতিটি জোয়ারেই পানিবন্দী হয়ে পড়ে। যা অনেকটা নিত্যদিনের সাথী। এ অবস্থায় দেশের অন্যান্য স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চললেও ওই এলাকার মানুষের দাবি বেড়িবাঁধ নির্মাণ।
মানব বন্ধন কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন, মোঃ মারুফ উর রহমান, কে এম আসাদ, ডঃ কাজী মনির, মোঃ সুলতান আহমেদসহ ঢাকায় অবস্থানরত মোড়েলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
মানব বন্ধনে উপস্থিত সকলের দাবি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সন্ন্যাসী, মোড়েলগঞ্জ, বারইখালী, বহরবুনিয়া, ফুলহাতা, ঘষিয়াখালীতে সিডর, আম্ফান, আইলা, ইয়াসসহ ঘূর্ণিঝড়ের মানুষের প্রাণহানি হয় ও স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। উপকূলীয় অঞ্চলে মৎস্য ঘের কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়, লবণাক্ততার কারণে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ ১২ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একটি বেড়িবাঁধের অভাবে বছরে দুই বা তিনবার ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। বক্তারা ওই এলাকার মানুষকে লবণাক্ততা ও জলোচ্ছাস থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বক্তারা বাঁধ নির্মাণের জন্য বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিনুল আলম মিলন ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তনময়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।