/ যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা

যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা

মানিক ঘোষ, কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ): দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক এখন দুর্ঘটনার পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে গড়াই পরিবহনের বাসগুলো বেপরোয়া গতিতে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় অঘটন। এতে সাধারণ যাত্রী ও স্থানীয়দেও মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে গড়াই পরিবহনের বাসগুলোতে চলে গতির প্রতিযোগিতা। এক বাস আরেকটিকে পেছনে ফেলার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ সময় যাত্রীদের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে চালকেরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়ি চালান। এর ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।

মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হলেও প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। বিভিন্ন স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি, ধুলোবালি ও খানাখন্দে ভরে গেছে পুরো সড়ক। বর্ষায় পানি জমে রাস্তায় তৈরি হয় কাদা, শুকনো মৌসুমে ধুলোয় আকাশ ঢেকে যায়। এই পরিস্থিতিতে গড়াই পরিবহনের বেপরোয়া বাস চলাচল ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “গড়াই পরিবহনের বাসগুলো রাস্তায় নামলেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চালকরা এমনভাবে গাড়ি চালান, যেন যাত্রীদেও জীবন-মরণের কোনো মূল্যই নেই। কলেজ ছাত্রী জ্যোতী বিশ্বাস জানান, “প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে লেটে যেতে হয়। রাস্তা যেমন খারাপ, তারপর বাসগুলোর চালকের আচরণ আরও ভয়ঙ্কর।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর নজর দারি না থাকায় গড়াই পরিবহনের চালকরা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করানো, সিগন্যাল অমান্য করা এবং অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে প্রকল্পের ধীরগতির কারণে স্থায়ী সমাধান আসছে না। যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক শুধু একটি সড়ক নয়, এ অঞ্চলের অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িয়ে আছে।