ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ সিটি মেয়রের

এ এইচ হিমালয় ঃ স্বল্পভাড়ার যান ইজিবাইকই এখন কষ্টের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে নি¤œবিত্ত নগরবাসীর মাঝে। নগর পরিবহনহীন শহরে ব্যাটারি চালিত এই যানবাহনে করেই নগরীর ভেতরে চলাচল করেন নি¤œবিত্তরা। কিন্তু হঠাৎ করেই ইজিবাইকের ভাড়া দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। দুমূর্ল্যরে বাজারে যাতায়াত ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক কষ্ট বেড়েছে মানুষের।
তবে আশার কথা হচ্ছে ইজিবাইকের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। কেসিসির পক্ষ থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি এবং মাইকিং করে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
কেসিসি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেছেন, কেসিসির পক্ষ থেকে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওই ইজিবাইকের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। খুব শিগগিরই এই অভিযান শুরু হবে। যারা কেসিসির নাম ব্যবহার করে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে, তাদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ারও অনুরোধ জানান মেয়র।
বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে নগরীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করা ইজিবাইকের ভাড়া দ্বিগুণ করা হয়েছে। খুলনা ইজিবাইক শ্রমিক লীগ নামের একটি সংগঠনের সিদ্ধান্তে এই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। সংগঠনটি একটি ভাড়ার তালিকা তৈরি করে ইজিবাচক চালকদের কাছে দিয়ে দিয়েছেন। খুলনা ইজিবাইক শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী ইব্রাহীম মার্শাল এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান মিলন নামের দুই ব্যক্তি এতে স্বাক্ষর করেন।
যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইজিবাইকের সবচেয়ে ব্যস্ততম রুট গল্লামারী থেকে ময়লাপোতা এবং সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে গল্লামারী পর্যন্ত ভাড়া ছিলো ৫ টাকা। হঠাৎ করে সেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। ময়লপোতা মোড় থেকে রূপসা পর্যন্ত আগে ভাড়া নেওয়া হতো ৫ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ ও বয়রা বাজার পর্যন্ত নতুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ১০ টাকা। আগে ছিল ৫ টাকা। এ ছাড়া ২০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে দৌলতপুর থেকে কোর্ট এবং জেলখানা ঘাট পর্যন্ত। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার কেসিসির পক্ষ থেকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সিটি মেয়র স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় সম্প্রতি কিছু ইজিবাইক চালক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে ভাড়া আদায় করছেন এবং এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার উদ্ভব হচ্ছে। বেশি ভাড়া আদায় করা হলে করপোরেশন থেকে ইজিবাইকের লাইসেন্স বাতিল করাসহ আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ বিজ্ঞপ্তিটি দৈনিক পত্রিকায় প্রচারের পাশাপাশি মাইকিংও করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক পূর্বাঞ্চলকে বলেন, যারা ভাড়া বৃদ্ধি করেছে তাদের এই দায়িত্ব কে দিয়েছে ? শহরের ভেতরে কোনো ভাড়া বৃদ্ধি চলবে না। যে সব ইজিবাইক চালক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবে, প্রমাণ পেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।