যুদ্ধ জাহাজ শহীদ দৌলত-এর লঞ্চিং অনুষ্ঠানে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান

রফিউল ইসলাম টুটুল ঃ সহকারী নৌবাহিনী প্রধান(ম্যাটেরিয়েল) রিয়ার এডমিরাল এম শফিউল আজম বলেছেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ছাড়াও বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোতেও যুদ্ধ জাহাজ রপ্তানী করতে প্রস্তুত খুলনা শিপইয়ার্ড। এ লক্ষ্যে খুলনা শিপইয়ার্ডের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। কাজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ ও যথাসময়ে হস্তান্তরের কারণে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি গতকাল নৌবাহিনীর জন্য নবনির্মিত যুদ্ধ জাহাজ বানৌজা শহীদ দৌলত-এর লঞ্চিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি এ সময় বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ডে এরই মধ্যে ছোট বড় ৭৭৫ টি জাহাজ নির্মাণ ও ২৩৬৩ টি জাহাজ মেরামতের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে দেশের মাটিতে প্রথম যুদ্ধ জাহাজ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ৫টি প্যাট্রোল ক্রাফট্ ও ২টি লার্জ প্যাট্রল ক্রাফট্ (এলপিসি) নির্মাণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ব্যাচে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য আরো ৫টি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের চুক্তি করা হয়। এর প্রথমটি হচ্ছে শহীদ দৌলত।
সহকারী নৌ প্রধান এ সময় আরো উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বাংলাদেশ এক বিশাল সমুদ্র এলাকা লাভ করেছে। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ বিশাল সমুদ্র এলাকা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। অর্জিত এ সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা, সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে এ ধরনের যুদ্ধ জাহাজের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, নির্মিতব্য ৫টি যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৫৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম জাহাজটির লঞ্চিং-এর মধ্য দিয়ে খুলনা শিপইয়ার্ডের প্রগতিশীল উন্নয়নের ধারায় আরেকটি ঐতিহাসিক অধ্যায় সূচিত হল। তিনি এ সময় দ্বিতীয় ব্যাচের এ জাহাজগুলো চীনা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ২০২২ সালের মধ্যে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন, খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম সামছুল আজিজ, কমফ্লোট ওয়েস্ট কমডোর শাহীন রহমান, কেডিএ’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলাম, কোষ্টগার্ডের জোনাল (পশ্চিম) ক্যাপ্টেন এম মোসায়েদ হোসেন, খুলনা শিপইয়ার্ডের জিএম(ফাইন্যান্স)ক্যাপ্টেন এস এম রিয়াজুর রশীদ, জিএম (এডমিন) এ এন এম দিদারুল আলম, জিএম (ডিএন্ডপি) ক্যাপ্টেন এম ফিদা হাসান, জিএম (প্রোডাকশন) ক্যাপ্টেন আবুল কালাম আজাদ, ম্যানেজার (এইচআর এন্ড এডমিন) মোঃ কামরুজ্জামানসহ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।