রাজধানীতে হঠাৎ করে ৯টি স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মনে করছে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও সহিংসতার উদ্দেশেই সরকারি বাস ও রাস্তায় চলাচল করা যানবাহনের অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে প্রেসক্লাব, গুলিস্তান, মতিঝিল, নয়াবাজার, কাঁটাবন মোড়, শাহজাহানপুর, নয়াপল্টন, ভাটারা প্রগতি সরণী কোকাকোলা মোড় ও মতিঝিল এলাকায় পূর্বালী পেট্রোল পাম্প এলাকায় আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচেষ্টায় এসব বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কাঁটাবন এলাকায় আগুন দেয়া বাসটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। অন্যগুলো পুড়েছে আংশিক। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগের মতোই যাত্রী বেসে উঠে দুর্বৃত্তরা বাসের পেছনে আগুন ধরিয়ে দ্রুত নেমে গেছে। এ দিকে অগ্নিকাণ্ডের পরপরই রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দুপুরের পর থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন করা হয় কয়েক প্লাটুন পুলিশ ও জলকামান। আশেপাশের সড়ক ও গলিতেও রয়েছে পুলিশের সতর্ক অবস্থান। অপর দিকে বাসে আগুন দেয়ার পরপরই পুলিশ নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের সামনে থেকে ৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার জামিল হাসান। তবে তিনি বলেন, বিএনপি অফিসের সামনে থেকে নয়। গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে তাদেরকে আশপাশ এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ও পুলিশ গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে উত্তরা থেকে একজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন।

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের এ সতর্ক অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজধানীর কয়েকটি জায়গায় প্রায় এক যোগে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, তাই সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি।

এ দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ধরণ দেখে ধারনা করা হচ্ছে এগুলো পূর্ব পরিকল্পিত। তিনি বলেন ‘নিঃসন্দেহে সহিংসতার উদ্দেশেই পার্কিং করা সরকারি যানবাহনে এবং রাস্তায় চলমান গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মহানগর পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে চলমান উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে একযোগে বাসে আগুন দেয়া হয়েছে কীনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।