/ রামপালে রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা

রামপালে রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা

কার্যাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

বাগেরহাটের রামপালে একটি সড়কের উন্নয়ন বন্ধ করে কার্যাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। কাজের মান নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, ঠিকাদার ও এজিইডি’র মধ্যে দ্বন্দ তৈরির জেরে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়েছে।
রামপাল উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত অর্থ বছরে রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফয়লাহাট বাসস্ট্যান্ড (মোংলা) থেকে পশ্চিম দিক অভিমুখি মাত্র ১০০০ মিটার দৈর্ঘের সন্তোষপুর সড়কের উন্নয়নে কাজে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ওই টাকায় সড়কের উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব পান গোপালগঞ্জের কামরুল এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সূত্র জানায়, গত বছরের ২-১২-২০২৪ খ্রি সড়কের উন্নয়ন কার্যাদেশ দেয়া হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি তিন মাস পূর্বে উন্নয়ন কাজে হাত দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ঠিকাদার কাজের শুরু থেকে সিডিউল মোতাবেক কাজ না করায় তারা বার বার সিডিউল মোতাবেক কাজ করতে পরামর্শ দেন। এরপরও ঠিকাদার খুলনা-মোংলা রেল লাইনের সন্তোষপুর রেল ক্রসিং এর পূর্ব ও পশ্চিম পাশে উপযুক্ত লেবেল না রেখে কাজ করায় তারা ঘোর আপত্তি তোলেন। তাছাড়া সড়কের দুই পাশে পর্যাপ্ত মাটি ও পাইলিং ব্যবস্থা সন্তোষজনক না হওয়ার পাশাপাশি পুরাতন ইট ব্যবহার করায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানায়। পর্যাপ্ত বালি ও খোয়া দিয়ে রোলার চেপে দেয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এক পর্যায় উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে সমস্যার আশ^াস দিলেও কোনো কাজ হয়নি। প্রতিবাদ জানালে এলজিইডি, ঠিকাদার ও মস্থানীয়দের মধ্যে তাদের দ্ব›দ্ব তৈরি হয়। এক পর্যায় উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে আনুমানিক ১৫ দিন পূর্বে সড়কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেয়। এখন সড়কের উন্নয়ন কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসি বলছে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। সড়কের কাজ না করলে পুরো বর্ষা মৌসুম তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।
এ ব্যাপারে গত ১৫ জুন বেলা ১টায় রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেনের সাথে কথা বলতে তার কার্যালয়ে গেলে কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকায় তার পক্ষে উপ-সহকারি উজ্জল এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঠিকাদার সিডিউল মোতাবেক কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৩০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। স্থানীয় একটি পক্ষ সড়কের উন্নয়ন কাজে অহেতুক ত্রæটি খুঁজে ঠিকাদারের কাছে চাদা দাবি করেছে। এজন্য আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। সেই সাথে কার্যাদেশ বাতিলের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঠিকাদার যতটুকু কাজ করেছে তার বিল পরিশোধ করে বাকি টাকা সরকারের ঘরে ফেরৎ দেয়ার পাশাপাশি পুনরায় কার্যাদেশ দেয়া হবে। তবে স্থানীয়রা চাঁদা দাবির বিষয়টি সত্য নয় দাবি করে বলেন, সিডিউল মোতাবেক ঠিকাদার কাজ না করায় আমরা প্রতিবাদ করেছি। এখন আমাদের চাদাবাজ আখ্যা দেয়া হচ্ছে। ঠিকাদার কামাল হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে কথা বলা যায়নি।