বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক একটি দলের পছন্দ হয়নি। যে কারণে নারাজ হয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে গতকাল (মঙ্গলবার) তারা হাজির হয়নি।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর উত্তরায় দলীয় সদস্যপদ নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সংঘর্ষে না গিয়ে দুই নেতা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। একেই বলে রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতা। রাষ্ট্রনায়ক সব সময় জনগণের শান্তির কথা চিন্তা করে কোনো বিভাজনে না গিয়ে আমাদের একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেকের পছন্দ হয়নি। কারণ নির্বাচন হলেই তাদের বিপদ। এখন নির্বাচন নেই তাই তাদের অনেক গুরুত্ব। নির্বাচন হলে জনগণের ভালোবাসার দল ক্ষমতায় এলে তাদের গুরুত্ব কমে যাবে এটা তারা জানে। যে কারণে ওরা নারাজ হয়েছে। এ জন্য গতকাল (মঙ্গলবার) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তারা হাজির হয়নি।
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের মতো আচরণ, জোর করে অধিকার হরণ করে, চাঁদাবাজি করে- তারা তো আওয়ামী লীগের মতো হয়ে যাবে। এগুলো করা যাবে না। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ চাই, পরিবর্তন চাই। আওয়ামী লীগের আগের মতো দুঃশাসন চাই না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সতর্ক করে বলেছেন, আজকে যে সদস্য নবায়ন করা হচ্ছে সেখানে যেন কোনো আওয়ামী লীগ না থাকে। কারণ এটা পরীক্ষিত, আওয়ামী লীগের কেউই ভালো না। আওয়ামী লীগ নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কারো স্বার্থ দেখতে পারে না। তাই তাদের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। তবে নিরপেক্ষ কেউ থাকলে তাকে অবশ্যই দলে আসার জন্য আহ্বান জানানো হবে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময় ভোটকেন্দ্রে কেউ যেতে পারেনি। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই তার ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা এটি চাই না। আমরা নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলাম, যাতে সবাই তার নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই কথা বলেছেন যে, মানুষকে শাসিয়ে বা তাদের অধিকার হরণ করে ভোট পাওয়া যাবে না; বরং বিনয়ী হয়ে ভোট চাইতে হবে।