স্টাফ রিপোর্টার: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ মহালয়া আজ রবিবার। এই দিন থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ। শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আবাহন করা হয়। এই আবাহন প্রক্রিয়াটি মহালয়া হিসেবে পরিচিত।
পুরাণ মতে, এ দিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এই দিন থেকে দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়ার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তা দিকে-দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। মহালয়ার ভোরে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেবী দুর্গা অশুভ শক্তির বিনাশের প্রতীক হিসেবে আর্বিভূত হন। মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। মহালয়ার আর একটি বিশেষ দিক হচ্ছে পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তর্পণ প্রদান করা হয়। এই তিথিতে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় অঞ্জলি প্রদান করা হয়।
মহালয়া উপলক্ষে ঢাকার কেন্দ্রীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরও বেশ কয়েকটি মন্দিরে শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গার আবাহন বা মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠান হয়। এছাড়া চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে এই অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। এবছর মহালয়া উপলক্ষে নগরীর রূপসা মহাশ্মশান ও শ্মশান কালী মন্দিরে সকাল ৮টায় প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে আবাহন করা হবে।
এরপর মহিষাসুরমর্দিনী গীতনাট্য অনুষ্ঠিত হবে। খুলনায় আর কোন মন্দিরে অনুষ্ঠানিকভাবে মহালয়ার অনুষ্ঠান না হলেও বেশ কয়েকটি মন্দিরে শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠ ও কালীপূজা অনুষ্ঠিত হবে।