হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।সোমবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আকস্মিক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ অসন্তোষের কথা জানান তিনি।সালমান এফ রহমান বলেন, ‘শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এমন খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই বিমানবন্দর পরিদর্শনে পাঠিয়েছেন। আমরা যেটা দেখেছি, দুই- তিনটা জায়গায় হয়রানি হয়। আমি ওভারঅল স্যাটিসফায়েড নই। আমি যা দেখেছি, এখানে পরিস্থিতি উন্নত করার অনেক সুযোগ রয়েছে। সেসব সুযোগের কথা আমি সংশ্লিষ্টদের বলে দিয়েছি। মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন, তাদের মন-মানসিকতা বদলাতে হবে।’‘নিরহংকার প্রচারবিমুখ অনুকরণীয় প্রাণের দৃষ্টান্ত ড. ওয়াজেদ মিয়া’‘নিরহংকার প্রচারবিমুখ অনুকরণীয় প্রাণের দৃষ্টান্ত ড. ওয়াজেদ মিয়া’
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, অনেক অভিযোগ আসছে। অপ্রয়োজনীয় হয়রানির ঘটনা ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী এসবের সমাধান ও সমন্বয়ের কথা বলেছেন। আজকের পরিদর্শনের পর যদি দেখি অভিযোগের হার কমছে না, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সালমান এফ রহমান বলেন, ‘সরকার খুব সিরিয়াসলি এ বিষয়টি নিয়েছে। প্রক্রিয়াটা আমরা আজকে শুরু করেছি।’কাস্টমসে যাত্রীদের হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যাত্রীরা নিয়ম অনুযায়ী স্বর্ণ আনছে দেশে। তবে শুল্কযোগ্য পণ্যের টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাংকের অবস্থান কাস্টমস থেকে একটু দূরে হওয়ায় যাত্রীদের অসুবিধা হয়। এ জন্য কাস্টমস জোনে ব্যাংকের বুথ বসাতে বলেছি।’প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘আরেকটা অভিযোগ শুনেছিলাম ইমিগ্রেশনে হয়রানি হয়। অনেকে বলেছেন, ইমিগ্রেশন পার হতে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়, অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা হয়। এসব হয়রানির অভিযোগ জানাতে যাত্রীদের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করছে পুলিশ।’তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরে দেশের ইমেজটা ফুটে ওঠে। বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতা যদি খারাপ থাকে, তাহলে শুরুতেই দেশ সম্পর্কে একটা খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। এটা যেন না হয়। বিষয়টা নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য (নিরাপত্তা) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী, শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম, পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।