খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে এবং বাংলাদেশের সামনে একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এখন সময় এসেছে শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার।”
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা ১২টায় খুলনা মহানগরীর বয়রা হাজী ফয়েজ উদ্দিন বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তুহিন বলেন, “ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নীতি অনুসরণ করে বিএনপি আবারো শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।” তিনি বলেন, “শুধু ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নয়, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভালো মানুষ। কারণ একজন ভালো মানুষই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।”
তিনি জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় বাজেটে জিডিপির ৫% শিক্ষা খাতে বরাদ্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, নারী শিক্ষায় বৃত্তি ও বিনামূল্যে শিক্ষা সম্প্রসারণ, এবং দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে শিক্ষা প্রযুক্তির আধুনিকায়নসহ একটি শিক্ষাবান্ধব নীতি বাস্তবায়ন করবে।
তুহিন বলেন, “১৯৭৮ সালে শহীদ জিয়া ঢাকায় প্রথম জাতীয় শিক্ষা কর্মশালা আয়োজন করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর বেগম খালেদা জিয়া নারী শিক্ষার প্রসারে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা ও বৃত্তির ব্যবস্থা করেন। আজকের অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিও তিনিই স্থাপন করেছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ৩১ দফা কর্মসূচিতে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত মানোন্নয়ন, প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুস্পষ্ট রূপরেখা রয়েছে।
“আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা মেধা, সততা ও মানবিক মূল্যবোধে গড়ে উঠুক। তারা যেন আগামী দিনের নেতৃত্বে আসতে পারে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আজকের শিক্ষার্থী ও তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। সে জন্য চাই ভালো শিক্ষার্থী ও ভালো মানুষ—এই দুইয়ের সমন্বয়,” বলেন শফিকুল আলম তুহিন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তফা কামাল। শুরুতেই মাইলস্টোন স্কুলে নিহত কোমলমতি শিশু ও পাইলটের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শওকত আলী লাবু বিশ্বাস, প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার বৈরাগী, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম, এবং কৃতী শিক্ষার্থী সুমাইয়া ইয়াসমিন।