সাতক্ষীরা থেকে চট্টগ্রাম যাবার পথে
৪ হাজার ২৮০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ঃ চিংড়িতে পুষ দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেই শুধু দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে না, বরং দেশের বাজারে বিক্রি করা মাছেও পুষ দিয়ে এদেশের জনসাধারণকেও অপদ্রব্য খাওয়ানো হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের একজন কর্মকর্তা এমনটিই উল্লেখ করলেন।
গত বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে পুষকৃত বিপুল পরিমান চিংড়ি উদ্ধারের পর এমন মন্তব্য ওই কর্মকর্তার। ওই অভিযানে অংশ নেয়া বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস, হুমায়ুন কবিরও উল্লেখ করেন, তার ৫০ বছরের এই শিল্পের কর্মজীবনে একসাথে এতো বিপুল পরিমান পুষকৃত চিংড়ি পাননি।
কোষ্টগার্ডের সহযোগিতা নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের এ অভিযানকালে চার হাজার ২৮০ কেজি চিংড়ি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৪২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে রয়েছে গলদা, বাগদা ও হরিনা চিংড়ি। যেগুলো একটি ট্রান্সপোর্টযোগে সাতক্ষীরা থেকে চট্টগ্রামে নেয়া হচ্ছিল বলেও মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা লিপটন সর্দার জানান। এ অভিযানকালে সাতক্ষীরার মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রান্সপোর্ট মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, পুষকৃত চিংড়িগুলো ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা ও চট্টগ্রামের স্থানীয় বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে রূপসা সেতু টোল প্লাজায় অভিযান চালিয়ে সেগুলো আটক করা হয়। ট্রাকযোগে বহন করা ওই মাছগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায় ৫৪৪টি ককসীটের মধ্য থেকে ২১৪টিতেই পুষকরা রয়েছে। যার মধ্যে চার হাজার ২৮০ কেজি মাছ ছিল। যা তাৎক্ষনিক নষ্ট করা হয়।
এ অভিযানকালে মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা লিপটন সরদার ও কোয়ারেন্টাইন অফিসার এবিএম জাকারিয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স এাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস, হুমায়ুন কবির, পরিচালক এম,এ হাসান পান্না, বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের রূপসা ষ্টেশনের সিপিও ফরহাদুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।