স্টাফ রিপোর্টার ঃ শুরুতেই পরিপূর্ণ হয়ে গেলো খুলনা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল।
২০টি আইসিই, ১০টি এইচডিইউসহ রেডজোন ও ইয়োলো জোনে সর্বমোট ১০০ বেডে একশ’ রোগী ছিল বলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) এবং করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার জানিয়েছেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন আইসিইউ ভবনে স্থাপিত করোনা হাসপাতালে গতকাল থেকেই প্রথম পরিপূর্ণ একশ’ বেডে যাত্রা শুরু করে। সকালে হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেয়া দৈনন্দিন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, সেখানে ৯৭জন রোগী রয়েছেন। কিন্তু রাতে করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র পূর্বাঞ্চলকে বলেন, রোগী একশ’ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। অর্থাৎ রোগী বৃদ্ধির ফলে আবারো বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ অবস্থায় হাসপাতালের সাবেক অর্থপেডিক ও গ্যাষ্ট্রোলজি বিভাগে করোনা হাসপাতালের দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের বিষয়টি আবারো জরুরি হয়ে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মনে করছেন। কিছুদিন ধরে রোগীর পরিমান কম থাকায় দ্বিতীয় ইউনিটের বিষয়টি কিছুটা ধীরে চলো নীতিতে চলছিল। তাছাড়া মূমূর্ষ রোগীদের জন্য আইসিইউ ও এইচডিইউসহ বেড বাড়ানো হলেও প্রথম দিনেই রোগী পরিপূর্ণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ অনেকটা হিমসিম খাচ্ছেন।
এদিকে, খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল আরও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মোদাচ্ছের হোসেন হাওলাদার(৭১) এবং তিনি বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জের বাসিন্দা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি গতকালই এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ বলেন, গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার পর ৫৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ৪৬জন, বাগেরহাটের চারজন, সাতক্ষীরার একজন, যশোরের একজন এবং পিরোজপুরের একজন রয়েছেন।
অপরদিকে, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: রাশেদা সুলতানা বলেন, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় সর্বমোট ৩৪ হাজার ৮৫জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩১ হাজার ২৮০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৩৮জন।