/ শেষ হলো খুলনার বৃক্ষমেলা: সাতাশ দিনে ৬০ লক্ষাধিক টাকার গাছের চারা বিক্রি

শেষ হলো খুলনার বৃক্ষমেলা: সাতাশ দিনে ৬০ লক্ষাধিক টাকার গাছের চারা বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠের টেনিস গ্রাউন্ড সংলগ্ন মাঠে মাসব্যাপী খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা গতকাল রবিবার শেষ হয়েছে। বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ মেলার ইতি ঘটে। এর আগে গত ৭ জুলাই থেকে মেলা শুরু হয়। এবারের মেলায় ২ আগষ্ট পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা।

‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যে জেলা প্রশাসন ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আয়োজনে বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ হুসাইন শওকত।

অনুষ্ঠান শেষে খুলনা বিভাগীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আয়োজনে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন। এছাড়াও বৃক্ষমেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন নার্সারির মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ তিনটি নার্সারির মালিকদের মাঝে পুরস্কার প্রাদান করেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর দাশ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ ও খুলনা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বদিউল আহমেদ রয়েল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাসানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হুসাইন শওকত বলেন, আমাদের গাছ লাগানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। গাছ আমাদেরকে অক্সিজেন দেয়। গাছ লাগনোর পর বড় করতে অনেক দিন লেগে যায়, কিন্তু কাটতে খুবই অল্প সময় লাগে। আমরা কোন পরিকল্পনা ছাড়াই গাছ কেটে থাকি। কিন্তু একটি গাছ কাটার পরিবর্তে কয়টা গাছ রোপণ করতে হবে সেই বিষয়ে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি ধর্মেই গাছ লাগানোর বিষয় উল্লেখ আছে। তিনি আরও বলেন, একটি গাছ মানে একটি প্রাণ। গাছ ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনা করতে পারিনা। আমরা আমাদের সন্তানদের পরামর্শ দেবো তারা যেন গাছ লাগায় ও গাছের যতœ করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেলার শেষ দিনেও ছিল দর্শক-ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। প্রথম দিকে অতিবৃষ্টির কারনে ক্রেতাদের আগমন ছিল অনেকটাই কম। এজন্য তিন সপ্তাহব্যাপী মেলা শুরু হলেও পরে নার্সারী মালিক সমিতির দাবির মুখে আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়।

মেলার নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হিসাবে দেখা যায়, খুলনা জেলা প্রশাসন ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ আয়োজিত এ মেলায় বিগত ২৭ দিনে (৭ জুলাই থেকে ২ আগষ্ট) মোট ৫৯লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৫ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রি হয়েছে। উক্ত ২৭ দিনে গাছের চারা বিক্রির পরিমান ছিল ৪৩ হাজার ৭২১টি।