বিপিএলের অষ্টম আসরে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পৌঁছে গেছে ফরচুন বরিশাল। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১০ রানে হারিয়েছে তারা।মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় বরিশাল। জবাবে ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানেই থেমে যায় কুমিল্লার ইনিংস।এদিন, দারুণ শুরু এনে দেন বরিশালের দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও ক্রিস গেইল। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল তাদের রান ২০০ ছাড়াবে। কিন্তু দলীয় ৫৮ রানের সময় ২২ রান করা গেইলের বিদায়ের পর ছন্দপতন ঘটে। দলীয় ৮৪ রানের সময় আউট হয়ে যান মুনিম শাহরিয়ারও। তিনি ৩০ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এরপর আর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। জিয়াউর রহমান ১৭, ডোয়াইন ব্রাভো ১৭ ও নাজমুল শান্ত ১৩ রান করেন। সাকিব আল হাসান মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন। শান্তর সঙ্গে ভুলবোঝাবুঝিতে রানআউটের শিকার হন সাকিব।
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ৩টি, মঈন আলি ২টি এবং সুনীল নারিন ও তানভীর ইসলাম একটি করে উইকেট নেন। পরে ব্যাট হাতে দলটির ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৬২ রান। লিটন দাস ৩৮ ও মাহমুদুল হাসান জয় ২০ রান করেন। এরপর আর কোনো বড় জুটি হয়নি। বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের চাকার গতি কমে যায়। শেষ দিকে ফাফ ডু প্লেসিস ২১, মঈন আলি ২২ ও সুনীল নারিন ১৭ রান করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। বরিশালের পক্ষে মুজিব উর রহমান ২টি, শফিকুল ইসলাম ২টি, মেহেদী হাসান রানা ২টি এবং একটি উইকেট শিকার করেন ডোয়াইন ব্রাভো। সাকিব ৪ ওভারে ২৭ রান দিলেও কোনো উইকেট নিতে পারেননি। ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান রানা। এই ম্যাচ পরাজিত হলেও কুমিল্লার সামনে ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে তারা। সেই ম্যাচ যারা জিতবে তারাই বরিশালের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে।