শীঘ্রই হচ্ছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সকল জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দিতে সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে ‘ভয়েস ফর ভ্যাকসিন’। এজন্য একটি কমিটি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে এ ব্যাপারে একটি সভা করে প্রাথমিক প্রস্তুতি নেয়া হয়। শীঘ্রই আবারো সভা করে কমিটি ঘোষণা করা হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে থাকবে কমিটি। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার পাশাপাশি বিশে^র প্রতিটি দেশেই ভ্যাকসিনকে সার্বজনীন করার উদ্যোগ নেবে ‘ভয়েস ফর ভ্যাকসিন’। এর প্রাথমিক সচিবালয় থাকবে নগরীর শের-ই-বাংলা রোডস্থ বেসরকারি সংস্থা অ্যাওসেড কার্যালয়ে।
নগরীর বিএমএ মিলনায়তনে গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা বিএমএ’র সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম এবং সঞ্চালনা করেন নাগরিক নেতা হুমায়ুন কবির ববি। এসময় ধারণাপত্র পেশ করেন অ্যাওসেড’র নির্বাহী পরিচালক শামীম আরেফীন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, কেসিসির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ আলী, খুলনা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, রায়ের মহল(অনার্স) কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, উন্নয়নকর্মী হাসান মেহেদী ও শরিফুল ইসলাম সেলিম, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা: আব্দুল মালেক, সাংবাদিক মোস্তফা জামাল পপলু, এইচ এম আলাউদ্দিন, ও কৌশিক দে বাপী, শ্রমিক নেতা মো: খলিলুর রহমান প্রমুখ।
মূল প্রতিবেদনে অ্যাওসেড’র নির্বাহী পরিচালক শামীম আরেফীন বলেন, যেসব নাগরিকের মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের আবেদন করার সুযোগ নেই তাদের মধ্যে অন্তত: ৫০ হাজার জনকে ভয়েস ফর ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আবেদন করে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
সভায় বলা হয়, তৃণমূল পর্যায়ে যতে সকলের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত হয় সেজন্য ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র থেকেও সহজে আবেদন করার বিষয়টির ওপর সরকারকে নজর দিতে হবে। তবে যেসব নাগরিকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে তাদেরকে ভ্যাকসিন না দিয়ে বরং পরীক্ষার মাধ্যমে যাদের প্রয়োজন তাদেরকেই ভ্যাকসিন দেয়া দরকার বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। সেই সাথে ভ্যাকসিন সংরক্ষনের জন্য শহর থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার ওপরও জোর দেয়া হয়। এ ধরনের সার্বিক বিষয়ে সরকারকে সকল প্রকার সহযোগিতা দেয়ার মাধ্যমে ভয়েস ফর ভ্যাকসিন প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিটি নাগরিকের জন্য করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে বলেও সভায় প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। সেই সাথে করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে যে ধরনের দুর্নীতি-অনিয়ম হয়েছে ভ্যাকসিন বিষয়েও তেমন কোন অনিয়ম-দুর্নীতি পরিলক্ষিত হলে সেটির বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হবে। সব মিলিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে যাতে কোন প্রকার বাণিজ্য না হয় বরং এটিকে সেবা হিসেবে দেখার জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়।