পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে তেহরানের ৭টা শর্ত মেনে নিতে হবে ।

এক অনানুষ্ঠানিক আলাপে মার্কিন কর্মকর্তাদের এ কথা জানিয়েছেন ইরানের প্রতিনিধিরা। কুয়েতের দৈনিক আল-জারিদায় এ খবর দেওয়া হয়েছে।

বাইডেন আগেই বলেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি আবারও চালু করতে চান তিনি। সম্ভব হলে আগেরবারের চেয়ে আরও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হতে পারে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

এ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কথা বলতে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখত রাভিঞ্চিকে দায়িত্ব দিয়েছে ইরান।

আল-জারিদা জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় পরমাণু চুক্তিতে ফেরার আগে ৭টি শর্ত মানার কথা জানিয়েছেন রাভিঞ্চি।

ইরানের প্রথম শর্ত হচ্ছে তেহরান ওয়াশিংটনের আরোপিত সব ধরনের অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায়।

যে ৬টি শক্তিশালী রাষ্ট্র অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল তা অব্যাহত থাকুক চায় ইরান।

ইরানের আরেক শর্ত হচ্ছে যেসব বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দ নয় তা দাপ্তরিক কমিটির মাধ্যমেই দর কষাকষির মধ্য দিয়ে সমাধান হবে।

একতরফাভাবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় ইরান যে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তির সঙ্গে ইরানের প্রতিরক্ষা ইস্যু বা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির বিষয়টি যুক্ত করা যাবে না। ইরানের পররাষ্ট্রনীতিকেও নয়। আরেক শর্ত হচ্ছে নতুন কোনো দেশ বা উপসাগরীয় দেশ এ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না।

এছাড়া ইসরাইল ও ফিলিস্তিন দুই পৃথক রাষ্ট্রের সমাধান নয় বরং জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে ইস্যুটির সমাধান চায় ইরান। এসব শর্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানির দপ্তর থেকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে।