দীর্ঘদিন ধরেই একটি সমস্যার সমাধান খুঁজছিল বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজম্যান্ট। ওয়ানডেতে গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বর পজিশনে কাকে খেলানো যায় সেটা নিয়ে। অনেককেই চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত একপ্রকার জিদ করেই এই পজিশনে খেলতে নামেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে তিন নম্বরে খেলতে নেমে অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। কিন্তু বিশ্বকাপের পরই তাকে জায়গাটি আবারও হারাতে হয়েছে।

আসন্ন ২০২৩ বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে এই পজিশনে খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। তবে তারা দুজনই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ফলে শুরু হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজেই নিজের জায়গায় ফিরে আসছেন সাকিব আল হাসান। এ তথ্য অধিনায়ক তামিম ইকবাল থেকে শুরু করে জাতীয় দলের নির্বাচকরাও গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আজ শুক্রবার (২১ মে) আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এ সময় সতীর্থ ও দীর্ঘদিনের বন্ধু সাকিবের প্রতিও বার্তা দিলেন। বলেছেন, বিশ্বকাপের মত ‘অতিমানবীয়’ পারফরম্যান্সের প্রত্যাশার চাপ না নিয়ে সে যেন নির্ভার হয়ে তার স্বাভাবিক খেলাটা খেলে। পাশাপাশি তাকে চাপে না ফেলতে গণমাধ্যম ও সমর্থকদের প্রতিও অনুরোধ জানিয়েছেন।

সাকিব তিন নম্বরে ব্যাট করবে নিশ্চিত করে টাইগার দলপতি বলেন, ‘অবশ্যই তার কাছে প্রত্যাশা বেশি থাকবে। তবে একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে। আর তা হলো- সে বিশ্বকাপে যা করেছে তা অনন্য। আমিও চাইবো প্রতি ম্যাচেই এরকম হোক। সাকিবও এটাই চাইবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এমন পারফরম্যান্স সবসময় সম্ভব নয়।’

‘একটা ছেলে মাত্র আট-নয় ম্যাচে ৬ শতাধিক রান করেছে। বিশ্ব ক্রিকেটে এমনটা খুব কম দেখা যায়। যদি ওরকম পারফরম্যান্স নাও হয় টেনশনের কিছু নেই। আমরা সবাই জানি যে সে কতটা ভালো’, যোগ করেন তিনি।

সাকিব এবারও ভালো করবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তামিম বলেন, তিন নম্বর পজিশনে সে আগেও ভালো করেছে। তবে বিশ্বকাপের মতো প্রতি ম্যাচে ওরকম না হলেও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। অন্তত আমি হবো না।