চুক্তির আওতায় থাকা ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে খেলতে হবেই। এ নিয়ে তাদের অনুরোধ করার কিছু নেই বলে মনে করেন বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) মিরপুরে সাকিব ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।এর আগে আইপিএলের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলতে চাননি সাকিব আল হাসান। বিসিবিও তাকে সবুজ সংকেত দিয়েছিল। কিন্তু আইপিএলে দল পাননি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এর পরই বদলে যায় দৃশ্যপট। পরে তিনি টেস্ট খেলবেন বলে জানান। তাকে রেখেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য দল ঘোষণা করে বিসিবি। কিন্তু আবারও দৃশ্যপটে নতুন রঙ।গত পরশু রাতে ব্যক্তিগত কাজে দুবাই যাওয়ার আগে সাকিব আল হাসান বলে গেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো মানসিক অবস্থা এখন তার নেই। কিছুদিন বিরতি দরকার। এরপর থেকেই পুরো দেশের আলোচনার বিষয়বস্তু সাকিব আল হাসান। সবার একটাই প্রশ্ন, সাকিব কি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন, না কি তাকে ছুটি দেবে বিসিবি? বোর্ড কি সাকিবকে অনুরোধ করবে।এ বিষয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘সাকিবকে অনুরোধ করা হয়নি। সে যেহেতু আইপিএল খেলছে না, এখন কাজটা কী? দল পেলে তো আইপিএলেই খেলতে যেত। আমরা জিজ্ঞেস করেছি, আইপিএল যেহেতু খেলছো না, টেস্ট খেলবে কি না? জবাবে বলেছে- হ্যাঁ!’চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের অনুরোধ করার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বোর্ড কেন অনুরোধ করতে যাবে? তারা চুক্তির খেলোয়াড়, বেতন নেয়। এমন তো না নতুন একজন, যে চুক্তিতে নেই, তাকে আমরা অনুরোধ করতে পারি। তখন সে বলতে পারবে, আমি যাবো না, চুক্তিতে নেই। কিন্তু ও তো আমাদের চুক্তিতে আছে, বিসিবির কর্মী। এখানে অনুরোধের কিছু নেই। পাপন ভাই তো তাও ভালো, অনুরোধ করেন। তিনি আদেশ করতে পারেন, যে তোমাকে খেলতে হবে। কারণ, সে চুক্তিতে আছে।’এ সময় সাকিবের মনোভাবে বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিসিবির এই পরিচালক। সুজন বলেন, ‘সাকিব টেস্ট না খেললে না খেলুক, আই ডোন্ট কেয়ার। বিসিবি এত উদ্বিগ্ন না। সে যদি উপভোগ না করে, ওর বলে দেওয়া উচিৎ, আমি আর টেস্ট খেলবো না বা এই ফরম্যাটে (টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে বা টেস্ট) খেলবো না।’