চট্টগ্রাম টেস্টের হার রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। ঢাকায় ফিরে গত সোমবার অনলাইনে কয়েক ঘন্টার মিটিং করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। মঙ্গলবার হুট করে টেস্ট দলে আনা হয় সৌম্য সরকারকে। সাকিব আল হাসানের পর নিতম্বের ইনজুরিতে দল থেকে ছিটকে পড়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলামও। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগে তাই প্রবল চাপে মুমিনুল হকের দল।

গত দুদিন দলটার অনুশীলনেও ছিল বিক্ষিপ্ত ছবি। স্লিপ ক্যাচিং অনুশীলনে দুই দিন ভিন্ন ভিন্ন ফিল্ডার দেখা গেল। সবাই যার যার নৈমত্তিক অনুশীলন করেছেন। কিন্তু সেখানে স্পষ্ট হারের হতাশা। স্বাগতিকরা এখন ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় সন্ধানরত। সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ আগামী ৫ দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সবুজ জমিনে হন্যে হয়ে খুঁজবে একটা ‘জয়’।

অধিনায়ক মুমিনুল হকের কথায় ইঙ্গিত রয়েছে, মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাতে একাট্টা টাইগাররা। দলের উপর চেপে বসা চাপকে অস্বীকার করেননি অধিনায়কও। তবে চাপ উতরে ম্যাচ জিততে মরিয়া তিনি। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

চট্টগ্রামে ৩ উইকেটে হেরে যাওয়ায় মিরপুরে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের। মুমিনুল বলেছেন, জয়ের জন্য মুখিয়ে তার দল। তিনি বলেছেন, ‘এই ম্যাচটা জেতার জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে আছে। উদ্দীপ্ত হয়ে আছে।’

চট্টগ্রামের হার ভুলে দ্বিতীয় টেস্টে ইতিবাচক ফলাফলের আশায় এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ দল। হোম সিরিজে হারের চাপ টের পাচ্ছেন অধিনায়ক মুমিনুল। তিনি বলেছেন, ‘দল যখন ফলাফল করবে না তখন এমনিতেই চাপ থাকবে। ওই হিসেবে তো চাপ আছেই। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন খেলবেন তখন তো চাপ থাকবেই। ওইটা নিয়ে কাজ করতে হবে ওইটা নিয়ে খেলতে হবে।’

সাকিব-সাদমানকে হারানোর কারণে একাদশে দুটি পরিবর্তন নিশ্চিত। মুমিনুল বলেছেন, ‘যেহেতু সাদমান নাই সেহেতু নতুন একজন আসতে পারে। আর সাকিব ভাই যেহেতু নাই সেহেতু মাঝখানে একটা পরিবর্তন আসতে পারে ছয় নম্বরে।’ তবে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আজ একাদশে দেখা যেতে পারে সৌম্য ও মিঠুনকে।

সাকিবের অভাব অনুভব করলেও স্পিন বিভাগে তাইজুল, মিরাজ, নাঈমের উপরই আস্থা রাখছেন মুমিনুল। কারণ সিরিজ হার এড়ানোর মিশনে সফলতা পেতে স্পিনারদের ঘূর্ণি জাদুই হবে বাংলাদেশের মূল অবলম্বন।