উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কয়রা(খুলনা) ঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, সুন্দরবনে বাঘে ধরা পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে বাঘ বিধবাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিএলসি প্রদান করে পারমিট দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যা থেকেই উপার্জন করে তারা তাদের সন্তান সন্তাদী নিয়ে বেঁচে থাকবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসাবে এ সর্ব প্রথম সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরার জন্য নারীদেরকে বিএলসি দিয়ে পারমিট চালু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও অনেক নারীদেরকে সুন্দরবনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি গতকাল বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা রেঞ্জের কোবাদক স্টেশনের আয়োজনে বাঘ বিধবা অসহায় মহিলা জেলে পরিবারের সহায়তার জন্য বিএলসি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী একথা বলেন। সুন্দরবনের সম্পদ সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে হাবিবুন নাহার বলেন, বিশ্বের ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় সবাইকে সম্পৃক্ত করতে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র, কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) এম.এ হাসান, খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ আবু সালেহ ও খুলনা সদরের সহকারি বন সংরক্ষক (এসএিফ) এজেডএম হাসানুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কোবাদক স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন দাকোপ-কয়রা সহ-ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ রিয়াছাদ আলী, আইসিডির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আশিকুজ্জামান, বাঘ বিধবা নারী সদস্য মনিরা খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ২১ জন বাঘ বিধবা সদস্যের মাঝে বিএলসি প্রদান করা হয়। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সিএমসি, সিপিজি, ভিটিআরটি সদস্য, বন বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্টাফসহ বাঘ বিধবা নারী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।