কেএমএসএস’র পরিকল্পনা শেয়ারিং সভায় সিটি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে তৃণমূলে পৌঁছে দিতে পেরেছেন। সুবিধাবঞ্চিতদের উন্নয়নে প্রত্যেককে নিজ উদ্যোগে কাজ করতে হবে।
খুলনা সিটি মেয়র গতকাল বুধবার সকালে নগরীর হোটেল সিটি ইন-এ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের (ইএইচডি) অগ্রগতি এবং পরবর্তী পরিকল্পনা শেয়ারিং বিষয়ক বিভাগীয় সভায় এসব কথা বলেন।
যুক্তরাজ্য সরকারের পররাষ্ট্র কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এর আর্থিক সহায়তায় কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে খুলনার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি সেবা সংস্থা(কেএমএসএস) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সিটি মেয়র আরও বলেন, করোনার মতো মহামারিতে বিশে^র অন্যান্য দেশাগুলোতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যখন হিমশিত অবস্থা, তখন বাংলাদেশ সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ, স্বাস্থ্যকর্মীদের একনিষ্ঠতা এবং বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় দেশের স্বাস্থ্যখাত মজবুত অবস্থানে ছিলো।
খুলনা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মোঃ হাবিবুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ শামিম আরা নাজনীন, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র মোঃ তাজকিন আহমেদ এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের এডভোকেসী কো-অর্ডিনেটর মো: আব্দুল মান্নান। অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, কেএমএসএস’র ইএইচডি প্রকল্পের টিম লিডার ফজলুল করিম চৌধুরী ও আরএইচস্টেপ’র কোয়ালিটি এসিউরেন্স অফিসার ডা: জিন্নাত আরা এ্যানি। স্বাগত বক্তৃতা করেন, কেএমএসএস’র নির্বাহী পরিচালক আফরোজা আক্তার মঞ্জু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনার সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ, সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা: মো: হোসাইন শাফাত, খুলনার জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক আ: আলিম, খুলনার সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন, বাগেরহাটের সমাজসেবা অফিসার এসএম রফিকুল ইসলাম, ব্যাংকার শেখ ফজলুর রহমান, দলিতের বিকাশ কুমার, বাগেরহাট ব্রুন’র স্বপন কুমার, ওয়ার্ল্ড ভিশনের ডা: মোস্তাক আহমেদ, দাকোপের উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, ইএইচডি প্রকল্পের লক্ষ্য হলো রোগব্যাধি ও মৃত্যুহার হ্রাস করে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পরিধি বাড়ানোর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টির টেকসই উন্নয়ন অর্জন করা। ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় দূর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলের শহর ও গ্রামে বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত প্রায় ২.৫ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সুবিধার মধ্যে আনা হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা এবং কমিউনিটি ভিত্তিক তহবিল গঠন করা হবে। এর ফলে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী ও সুবিধাবঞ্চিতরা স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে গেলে বাড়তি ব্যয় করতে হবে না বলেও সভায় জানানো হয়।
এসময় যতোদিন পর্যন্ত সকলকে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় না আনা হবে ততোদিন সকলের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার আহবান জানানো হয়।