স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা সদর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের এস্টেট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদারের দেয়া পৃথক দু’টি প্রতিবেদন অনুযায়ী নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ১৭ নং ওয়ার্ডের ছোট বয়রা হাসানবাগ এলাকার একটি রাস্তা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এতে সেখানকার কয়েকটি পরিবার যেমন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তেমনি একটি মসজিদে যাতায়াতের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(কেডিএ) এবং খুলনা জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। কে ডি এ’র পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবৈধ স্থাপনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হলেও সে অনুরোধে কোন কর্ণপাত করা হচ্ছে না। যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে সরোজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ছোট বয়রা মৌজার এক নম্বর খতিয়ানের ৪৪৭৮ নম্বর দাগ জমি সরকারি খাস সম্পত্তি। কিন্তু ওই জমি দখল করে সেখানে স্থাপনা গড়ে তুলছেন জনৈক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে সম্প্রতি ওই এলাকার শামসুল আলম নামে এক বাসিন্দা কেএমপি’র সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়া এলাকার দিন মহাম্মদ মোড়ল নামের অপর এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর সদর ভূমি অফিসের মাধ্যমে জরিপ করা হয়। ওই জরিপেও আবেদনের সত্যতা মেলে।
এছাড়া কেসিসির এস্টেট অফিসার কর্তৃক দেয়া প্রতিবেদনে সরকারি খাস জমিতে রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণের কথা উল্লেখ রয়েছে।
যদিও ৪৪৭৮ নং দাগের মালিক আবদুল হাসিব বলেন, কেসিসি ও সদর ভূমি অফিসের দেয়া প্রতিবেদন সঠিক নয়। এমনকি তার দখলীয় সম্পত্তি কোন সরকারি জমি নয় এবং তিনি কোন রাস্তার উপর বাড়ি নির্মাণ করছেন না। তার বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ সঠিক নয় বলেও তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সীমানার মধ্যে বাড়ি নির্মাণ করতে দেখেছে। রাস্তার উপর কোন রকম বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে না বলেও তিনি জানান।