নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণকে (১৫) কুপিয়ে হত্যার দায়ে বখাটে মো. কাওছার মিয়াকে (১৮) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত মো. কাওছার মিয়ার বাড়ি বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর গ্রামে। আর নিহত মুক্তি বর্মণ প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে। সে প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মুক্তি উদীচী বারহাট্টা শাখা কমিটির সাধারণ সদস্য, নারী প্রগতির ইয়ুথ গ্রুপ ও কংস থিয়েটারের সঙ্গেও কাজ করত।স্থানীয় বাসিন্দা ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাওছার মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মুক্তি বর্মণকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। ২০২৩ সালের ২ মে সে পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয় থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে মুক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেন কাওছার। ঘটনার পরদিন সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কাওসারকে আটক করে। পরে নিহত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কাওছারকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ওই বছরের ৫ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সায়েম মোহাম্মদ আবদুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ বিচারক রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় কাওছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হাসেম। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন দেলুয়ারা বেগম।