শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পুরোপুরি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে, আমরা কী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষ দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সুযোগ পাবো নাকি মার্চ মাসে খোলার চেষ্টা করবো। মোটকথা, আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকি নেবো না। যখন মনে করবো, ঝুঁকিটা খুবই কম, তখনই আমরা স্কুল খুলবো।

বুধবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে ‘নিরাপদে স্কুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। ব্র্যাক, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশসহ ১৫টি উন্নয়ন সংস্থা এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে। ক্যাম্পেইন এর লক্ষ্য হলো সরকারকে সহায়তা করা যাতে করে শিশু, পরিবার, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তুত হতে পারে ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যদি মার্চে স্কুল খুলতে পারি, সেই হিসেবে আমরা নতুন করে এসএসসি ও এইচএসসির জন্য সিলেবাস তৈরি করেছি। এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবসে ও এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্মদিবসের সিলেবাস তৈরি করেছি। এখন যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে একটু দেরি হয়, তাহলে পরীক্ষা আরেকটু পরে নেবো। তারপরে তাদের পরবর্তী পর্যায়ে যেতে তেমন কোনো সমস্যা হবে বলে আমরা মনে করছি না।’
ডা. দীপু মনি বলেন, অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কথা হচ্ছিলো, তখন তিনিও আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন, আমাদের যারা আবাসিক ছাত্র তাদের যদি টিকা আমরা দিয়ে দিতে পারতাম, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারতাম। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সানুগ্রহ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সকল শিক্ষককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। এটি আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সহায়তা করবে। আমরা এর পাশাপাশি বা পরের ধাপেই হয়তো, আবাসিক ছাত্রদেরও টিকা দিতে পারবো। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখনই রাস্তা-ঘাটে, হাটবাজারে যাই বা হাতিরঝিল দিয়ে যাই সেখানে তো আমি অগণিত শিক্ষার্থীকে দেখি। ঘরবন্দি শুধু একেবারে ছোট যারা। সর্বত্র শিক্ষার্থীদের ছড়াছড়ি এবং কারো মুখে মাস্ক পাওয়া যায় না। তাহলে এখন ঝুঁকি কম মনে করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আর যারা এখনও ভয় পাচ্ছেন কী করে খুলবো, তারা একটু বাইরের দিকে দেখবেন। আপনাদের সন্তানেরা স্কুলে না আসলেও বাইরে বের হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শীঘ্রই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, দেশের সকল শিক্ষকবৃন্দকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ সমূহের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদান করা হবে।