/ হারানো গণতন্ত্র পুনর্জাগরণে আন্দোলন করেছে বিএনপি : এড. মনা

হারানো গণতন্ত্র পুনর্জাগরণে আন্দোলন করেছে বিএনপি : এড. মনা

খানজাহান আলী থানা শ্রমিকদলের সভাপতি শহিদুল, সা. সম্পাদক জিহাদুল

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা দেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিলেন আর গণতন্ত্র পুনর্জাগরণে আন্দোলন করেছে বিএনপি। হাজারো নির্যাতন নিপিড়ন, খুন গুম, মামলা হামলার খড়গ নিয়েও আন্দোলন থেকে পিছু হটেনি বিএনপি। দেশের প্রতিটি দুঃসময়ে জিয়া পরিবার শক্ত হাতে এদেশের হাল ধরেছেন। ৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরস্ত্র জনগণের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হামলায় বেঘোরে প্রাণ হারায় অসংখ্য মানুষ। বাঙালির এই দুঃসময়ে জীবনবাজি রেখে প্রবল বিক্রমে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন মেজর জিয়াউর রহমান। চট্টগ্রামে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত তার স্বাধীনতার ঘোষণায় উদ্বেলিত জনগণ সাহসের সঙ্গে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি জিয়াউর রহমান। ‘উই রিভোল্ট’ হুংকার দিয়ে নিজেও নেতৃত্ব দেন সশস্ত্র সংগ্রামে।


গতকাল শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকালে খানজাহান আলী থানা শ্রমিকদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‎বাংলাদেশের ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া এক অনমনীয় নেতৃত্বের নাম যাঁর আপসহীন সংগ্রামী মনোভাব এদেশের মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে পথ দেখিয়েছে বারবার। সাধারণ একজন গৃহবধূ থেকে রাষ্ট্রের ক্রান্তিলগ্নে এক অপ্রতিরোধ্য নেতৃত্ব হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শুধুমাত্র স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধেই নয়, পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কালো ছায়া থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিক‚ল রাজনৈতিক পরিবেশেও তিনি আপসহীন থেকেছেন এবং তাঁরই নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সর্বদা অবিচল থেকেছে। ২৪ এর জুলাই-আগস্ট গণঅভ‚্যত্থানে যখন জাতি ছিল হতাশায় নিমজ্জিত ও দিশেহারা, তখন দূর প্রবাসে থেকেও আশার আলো দেখিয়েছেন তারেক রহমান। তার কণ্ঠে আমরা শুনেছি স্বাধীনতা এবং ঐক্যের ডাক। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন-নেতৃত্ব মানে দূরত্ব নয়, নেতৃত্ব মানে জনতার হৃদয় জয় করা।


সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন খুলনা মহানগর শ্রমিক আহবায়ক মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, বদরুল আলম খান, শফিউল ইসলাম শফি, মোল্লা সোহাগ হোসেন, শেখ আব্দুস সালাম, শেখ মোঃ আলমগীর হোসেন, ইকবাল হোসেন মিজান, মীর শওকত হোসেন হিট্টু, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, আনোয়ার হোসেন, মামুন শেখ , ডাঃ রইচউদ্দীন, হাবিবুর রহমান বিপ্লব, মোঃ সিয়াম হোসেন, শাম্মী চৌধুরী মলি, সাবিনা ইয়াসমিন, চমন আরা, দাউদুর রশিদ শাওন, মোল্লা সোহরাব হোসেন, এমদাদুল হক, হেলাল শরীফ, জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল্লাহ তারেক, মুন্সি আজমল হোসেন। কাজী শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জিয়াদুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, যুগ্ম আহবায়ক আবু বক্কার সিদ্দিক, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন , সরদার আরব আলী জিএম মাহাবুর রহমান। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ভোটের মাধ্যমে খানজাহান আলী থানা শ্রমিক দলের সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী শহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জিহাদুল ইসলাম। সমম্মেলনের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন অতিথিরা।
উল্লেখ্য দীর্ঘ ১৮ বছর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সংগঠনের তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।