বিশ্বে প্রথম পরমাণু বোমা হামলার ৭৫তম বার্ষিকী পালন করেছে জাপান। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বৃহস্পতিবার নিহতদের স্মরণ অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

হিরোশিমায় এ বছরের প্রধান স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি, নিহত ও আহতদের স্বজন এবং বহু বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি। অনুষ্ঠানটি অনলাইনে সম্প্রচার করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া অনেকে কালো পোশাক পরেছেন এবং মুখে মাস্ক পরে ঠিক সকাল সোয়া ৮টায় হিরোশিমা নগরীর যে স্থানে প্রথম পরমাণু বোমা ফেলা হয় সেখানে নিরব প্রার্থনায় অংশ নেন।

হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এ কারণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। তিনি করোনা মহামারীর মতো বৈশ্বিক হুমকি মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বিশ্বকে পরমাণু বোমামুক্ত এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি তার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর অঙ্গীকার করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘পরমাণু বোমার ঝুঁকি সম্পূর্ণ দূর করতে একমাত্র পথ হচ্ছে সব পরমাণু বোমা ধ্বংস করা।’

১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় লিটল বয় বোমার বিস্ফোরণে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়, এদের বেশিরভাগই তাৎক্ষণিকভাবে মারা গেছেন। অন্যরা হামলার কয়েক সপ্তাহ এবং কয়েক মাসের মধ্যে রেডিয়েশনে, ভয়ংকরভাবে পুড়ে এবং অন্যান্য আঘাতে মারা যান। তিনদিন পরে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় পরমাণু বোমা ফেলে জাপানের নাগাসাকি শহরে। এতে ৭৪ হাজার লোকের মৃত্যু হয়।