স্টাফ রির্পোটার ঃ পক্ষকালব্যাপী প্রচারাভিযানে রূপান্তর প্রায় দশ সহ¯্রাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে করোনার টীকা প্রদানে সহায়তা করেছে। এ সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে একই সাথে টীকা রেজিস্ট্রেশন ও টীকা সনদও প্রদান করা হয়েছে। সমাজের অত্যন্ত অবহেলিত এই বৃহৎ জনগোষ্ঠী এতদিন করোনার টীকা প্রদানে যেমন গুরুত্ব পায়নি তেমনি তারা সরকারের টীকার সহায়তার বিষয়ে আগ্রহীও ছিল না। রূপান্তর সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তায় পরিচালিত করোনা রিকোভারী প্রকল্পের আওতায় খুলনা এবং বাগেরহাট জেলার ৪টি উপজেলা এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের টীকা প্রদানের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে এগিয়ে আসে।
‘করোনা অতিমারীতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরী পুনর্বাসন উদ্যোগ’ (স্ক্রিম) প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প এলাকা খুলনা এবং বাগেরহাট জেলায় মধ্য ফেব্রুয়ারী হতে এই প্রচারাভিযান চলে। এতে ৪৪টি ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প পরিচালিত হয়। ক্যাম্পেইনে টীকা রেজিস্ট্রেশন বাদেও টীকা সনদ সরবরাহ, মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ২১টি ওয়ার্ডে, দাকোপ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এবং বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট সদর, মোংলা এবং শরণখোলা উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়নসহ মোট ৪৪টি ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পেইনে প্রায় ১০ সহ¯্রাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর টীকা রেজিস্ট্রেশন ও টীকা সনদ সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও গত মাস থেকে সচেতনতামূলক মাইকিংও চালানো হয়েছে। এ প্রচারণার কারণে খুলনা জেলার খুলনা মহানগরী, দাকোপ এবং বটিয়াঘাটা উপজেলা এবং বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট সদর, মোংলা এবং শরণখোলা উপজেলায় মানুষের মধ্যে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কিত সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ আগ্রহভরে এ সকল কর্মকান্ডে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
খুলনা এবং বাগেরহাটের প্রকল্পভুক্ত উল্লেখিত উপজেলাসমূহে পরিচালিত করোনার টীকা গ্রহণ এবং করোনার স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত প্রচারণায় সার্বক্ষনিকভাবে সংযুক্ত ছিলেন প্রকল্পের মনিটরিং কো-অর্ডিনেটর শবনম সুবহা, স্ক্রিম প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা জার্জিস উল্লাহ ও আলমগীর হোসেন মিরু, ফিল্ড অফিসার মো: মোশারেফ আলী সোহেল, মনিরুল ইসলাম, আকাশ সাহা, টুকুরানী বিশ্বাস, শিল্পী ডাকুয়া, সুনীতি রায়, খলিলুর রহমান ও আল ইমরান মুন্না প্রমুখ। রূপান্তরের স্ক্রিম প্রকল্পের ইয়ুথ গ্রুপ এ ক্যাম্পেইন কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহণসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে।
উল্লেখ্য, খুলনা উপকূলীয় এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়ন করে করোনার নয়াস্বাভাবিকত্ব পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর উদ্দেশ্যেই এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।