বয়সের ফাঁদে পড়ে বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু শিশু স্কুল ভর্তিতে আবেদন করতে না পারায় নতুন করে আবেদন নিতে শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদনের জন্য নির্ধারিত টেলিটকের সফটওয়্যারটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে আবার খুলে দেওয়া হয়েছে।

মাউশির এক অফিস আদেশে জানানো হয়, আগে বয়সের কারণে আবেদন করতে না পারা শিক্ষার্থীরা এখন আবেদন করতে পারবে। আবেদনের জন্য সফটওয়্যার বিকাল ৫টা থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবেদনের জন্য সফটওয়্যার চলমান থাকবে। আগামী ১১ জানুয়ারি ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বর ভর্তি লটারির নির্ধারিত দিন ছিল। তবে নির্ধারিত শ্রেণিতে ভর্তির নির্ধারিত বয়সের চেয়ে কয়েকদিন কম হওয়ার কারণে বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু আবেদন করতে পারেনি।

মুন্সীগঞ্জের এক শিক্ষার্থীর বাবা মিজানুর রহমানের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ২৯ ডিসেম্বর ভর্তি আবেদনের সময় আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ষষ্ঠ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১১ বছর বয়সের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া শর্তটিও স্থগিত করে হাইকোর্ট। ফলে ১১ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদেরও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইলো না।

উচ্চ আদালতের এ আদেশের পর সেইদিনই ভর্তি লটারি স্থগিত ঘোষণা করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

স্কুলে ভর্তি নীতিমালায় এ বছর শিক্ষার্থীর বয়সের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে-জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে। সে হিসাবে দ্বিতীয় থেকে ৯ম শ্রেণির ভর্তির বয়স নির্ধারিত হবে। তবে ভর্তির বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।