/ ১১ বছর পর পুনর্নির্মাণ হচ্ছে বাস্তুহারা সংযোগ সড়ক, ব্যয় ২৪ কোটি টাকা

১১ বছর পর পুনর্নির্মাণ হচ্ছে বাস্তুহারা সংযোগ সড়ক, ব্যয় ২৪ কোটি টাকা

দুর্ভোগের অবসান হবে বাস্তুহারা
মুজগুন্নীসহ আশপাশের মানুষের

এ এইচ হিমালয় : রূপসা সেতু বাইপাস থেকে শহরে প্রবেশের জন্য ২০১৩ সালে খুলনা বিশেষায়িত (সাবেক আবু নাসের বিশেষায়িত) হাসপাতালের কাছে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছিল খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। ‘বাস্তুহারা লিংক রোড’ নামের সড়কটি নির্মাণ হওয়ায় দুই পাশে একাধিক আবাসিক এলাকা গড়ে ওঠে। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে সড়ক সংস্কার নিয়ে ঠেলাঠেলি করেছে কেডিএ ও কেসিসি। কিন্তু কেউই সড়ক সংস্কার করেনি। ফলে সড়কের মধ্যে বড় ডোবা ও পুকুর তৈরি হয়। সড়কটি সংস্কারের জন্য ওই এলাকার মানুষ অসংখ্যবার মানববন্ধন, স্মারকলিপিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করলেও কাজ হয়নি।
আশার কথা হচ্ছে প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সড়কের কাজ শেষ হলে দীর্ঘ ১১ বছরের কষ্টের অবসান হবে।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, ১ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি দুই লেন বিশিষ্ট হচ্ছে। দুই পাশে দেড় মিটার ড্রেন, ফুটপাতসহ ৬০ ফুট চওড়া হবে সড়কটি। মাঝখানে থাকবে ডিভাইডার। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ২৪ কোটি টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও খুলনা প্রেস ক্লাবের আহŸায়ক এনামুল হক বলেন, ১১ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি এলাকার মানুষের কষ্টের কারণ হয়ে দাড়ায়। সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। সড়কের কাজ শেষ হলে সহজেই মানুষ রূপসা সেতু বাইপাস থেকে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল, নেভি স্কুল, মুজগুন্নী আবাসিক এলাকাসহ শহরে প্রবেশ করতে পারবে।
স্থানীয়রা জানান, গত মাস থেকে সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সঠিক মান বজায় রেখে কাজ শেষ করতে কেসিসির প্রতি অনুরোধ জানাই।
কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কারহীন অবস্থায় পড়ে ছিল। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজের মান যাতে ঠিক থাকে-এজন্য কঠোরভাবে নির্মাণ কাজ মনিটরিং করা হচ্ছে।