/ ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এটার কাজ আমরা এগিয়ে নিচ্ছি। এখানে সরকার টাকা দেবে, চীন সরকারও টাকা দেবে। এটা ১০ বছর মেয়াদের পরিকল্পনা।তার মধ্যে পাঁচ বছরে সেচ, ভাঙন রোধ ও স্থায়ী বাঁধ এই তিন জিনিসকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’

বুধবার দুপুরে শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী ও ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘তিস্তা নদী নিয়ে টাকা কারা দেবে, এ নিয়ে অনেক কথা হতে পারে। তিস্তার মতো একটা ভাঙনপ্রবণ, খরস্রোতা, ভাগ করে নেওয়া নদী, যেখানে আমরা ভাটিতে আছি, তার ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেকে উৎকর্ষতার দাবি রাখে।এ জন্য চীন সরকারের সঙ্গে বিগত সরকারের আমলে যখন চুক্তি হয়, তাদের পরিকল্পনা শেলফে তুলে রাখা হয়। আমরা ওটা বের করলাম। ওটার ওপর কাজ করেছি।’ রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পরিকল্পনা আমরা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি।

গতকাল (মঙ্গলবার) পরিকল্পনা কমিশন তাদের পক্ষ থেকে অনাপত্তি দিয়ে এই তিস্তা প্রকল্পের খসড়া পাঠিয়ে দিয়েছে ইআরডি বিভাগে। এখন ইআরডি বিভাগ থেকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে চায়নার কাছে। আমরা এখানে একমত। এখন বিশেষজ্ঞেরা এটা ডিজাইন করবেন। আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে এই চুক্তিটা শেষ পর্যায়ে
নিয়ে যেতে পারব।আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হবে। আমাদের প্রকল্পের দলিলে লেখা আছে, কাজ শুরু হবে জানুয়ারি ২০২৬-এ।’
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ ও তার সহযোদ্ধারা যে আদর্শে জীবন দিয়েছেন, তা কেবল স্মরণীয় নয়—তা হোক আমাদের প্রতিদিনের প্রেরণা। তরুণ প্রজন্ম যেন মানবিকতা, সাহস ও ন্যায়ের পথে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করে—এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।’

তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদ ভয়ের মুখে দাঁড়িয়ে সাহস দেখিয়েছিলেন। তার মৃত্যু ছিল এক বিপ্লবের সূচনা, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—পরিবর্তনের জন্য শুধু প্রতিবাদ নয়, প্রয়োজন সামাজিক প্রতিরোধ।’

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকত আলী।