ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ২০২০ সালে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করেছে ১৬ হাজার ৫২৯ জন মাদক কারবারিকে। মাদক উদ্ধারের মধ্যে সর্বাধিক ছিল ইয়াবা। অপরদিকে এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ১৩২টি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন।

তিনি জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্র গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকের মধ্যে রয়েছে- ৩৭টি বিদেশি পিস্তল, ১৯টি বিদেশি রিভলবার, ৩১টি দেশি পিস্তল, ৪টি দেশি রিভলভার, ৩টি শটগান, ৬টি ওয়ান শুটার গান, কাটা রাইফেল ৩টি, পাইপগান- ৪টি, এস.বি.বি.এল-১টি, ২৪টি অন্যান্য অস্ত্র।

মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ গ্রেফতার হয়েছে ১৬ হাজার ৫২৯ জন। মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ইয়াবা- ২৮০২৪৯৫ পিস, গাঁজা- ৩৯০০ কেজি ৩৫৯ গ্রাম, হেরোইন- ৪৯ কেজি ৪৪৭ গ্রাম বিয়ার- ৪২৭১২ ক্যান, ফেনসিডিল- ৬৪ ৭৫৬ বোতল, বিদেশি মদ- ২৮৭০ বোতল, ১৭৪ লিটার, এ্যাস্পুল ইনজেকশন- ৭৭৪৩ পিস, চোলাই মদ-৫৯৫২ লিটার, দেশি মদ – ৩৩৭২ বোতল, কোকেন- ১ কেজি, ওয়াস- ১০০ লিটার ৫৫০ গ্রাম এমফিটামিন- ১২ কেজি ৯৩০ গ্রাম, মিথাইল- ৬২৭ লিটার, আইসোপ্রপানন- ২১৫ লিটার, ট্যাপেন্ডটাইন্ড ট্যাবলেট- ৩৬৭৬০ পিস, ব্রফেনরফিন ইনজেকশন- ১৯৮০ পিস ও ন্যালবুফিন হাইড্রোক্লোরাইড- ২৬ মি.লি. ।

এসময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চোরাই গাড়ি সংক্রান্ত ৩১০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার প্রেক্ষিতে থানা ও গোয়েন্দা বিভাগ ৩৮৬টি চোরাই গাড়ি উদ্ধারসহ গ্রেফতার ১৪৯ জন। উদ্ধারকৃত চোরাই গাড়ির মধ্যে রয়েছে- ১১টি বাস, ২০টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ৭২টি প্রাইভেটকার, ৫৩টি জিপ, পিকআপ, ২৯টি বেবী ট্যাক্সি, সিএনজি, ৬টি ট্যাম্পু, লেগুনা, ১৭৭টি মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস- ১৮।

উপকমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সর্ব অবস্থায় বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিচ্ছবি হিসেবে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে। ২০২০ সালে মহামারি করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ করোনাকালীন মানুষের সেবার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য, অস্ত্র গোলাবারুদ, বিস্ফোরক ও চোরাই গাড়ি উদ্ধারসহ বিভিন্ন অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি তার সাফল্য ধরে রেখেছে।