খুলনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
স্টাফ রিপোর্টার ঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেছেন, ২০২২ সালের ভর্তি পরীক্ষাও হবে গতবারের আদলে লটারির মাধ্যমে। লটারির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার পেছনে সরকারের সুদুরপ্রসারী লক্ষ্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষায় গুনগত মান আনতে হলে সমতা আনতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে যেটি অর্জন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার উযোগী করে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হলে শিক্ষা ক্ষেত্রের সকল প্রকার বৈষম্য দূর করতে হবে। যে লক্ষ্য নিয়েই বর্তমান সরকার কাজ করছে। নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর খালিশপুরস্থ খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল মিলনায়তনে করোনা পরবর্তী পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠান ও শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চল আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর শেখ হারুনর রশীদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক(মাধ্যমিক) এ,এস,এম আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি পোষ্ট গ্রাজুয়েট কলেজ সমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও আঞ্জলিক দপ্তরের উপ-পরিচালক(কলেজ) এস, কে মোস্তাফিজুর রহমান।
সহকারী পরিচালক মো: এনামুল হকের পরিচালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা সরকারি বিএল বিশ^বিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান। এসময় অভিভাবকদের পক্ষে বক্তৃতা করেন, সাংবাদিক খলিলুর রহমান সুমন এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কথা বলেন, খুলনা জিলা স্কুলের এসএসপি পরীক্ষার্থী শেখ তৌফিকুজ্জামান ও খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রিক্তা সরকার।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় আরও বলেন, ২০২২ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস ও বিষয় কমানোর চিন্তা-ভাবনা নেই। সকলকে টিকার আওতায় আনার মধ্যদিয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
‘শিক্ষায় বিকেন্দ্রীকরণের বড় উদাহরণ হচ্ছে এ্যাসাইনমেন্ট’ এমনটি উল্লেখ করে করে মহাপরিচালক বলেন, আগামীতে পাবলিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সাথে এ্যাসাইনমেন্টের নম্বরও যোগ করা হবে। সুতরাং এটিকে খাটো করে দেখার যেমন কিছু নেই তেমনি শিক্ষকদেরও নম্বর দেয়ার ক্ষেত্রেও আরও যতœবান হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে মানোন্নয়ন হলেই শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়বে। সুতরাং শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখা উচিত।
প্রধান অতিথি এসময় শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। প্রশ্নত্তর পর্বে তিনি বলেন, পরীক্ষার সময় যথারীতি কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন হলেই শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও তিনি আশ^াস দেন।