বাগেরহাট ব্যুরো: বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা ও ৯টি উপজেলা নির্বাচন অফিসে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। সকাল থেকেই বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন সংগঠনের শতশত নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে প্রধান গেটের সামনে অবস্থান নেয়। ফলে দুপুর পর্যন্ত সব নির্বাচন অফিসের কার্যক্রম ও নাগরিক সেবা বন্ধ থাকে। তবে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে সর্বদলীয় কমিটির আহ্বায়ক এম এ সালাম ঘোষণা দেন, বৃহস্পতিবারও একই কর্মসূচি চলবে। তিনি জানান, দুর্গোৎসব উপলক্ষে জেলাব্যাপী হরতাল ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথেও আন্দোলন চলবে। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কমিটির আলোচনা শেষে নতুন কর্মসূচির ঘোষনা দেওয়া হবে। তবে আগামী শুক্র ও শনিবার কোন কর্মসূচি থাকবে না বলে জানান তিনি।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জামায়েতের সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মাদ ইউনুস বলেন, আমাদের দায়ের করা রিট পিটিশনে জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না ও একই সাথে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটও কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দূর্গাৎসবকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আমরা হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছি। তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত জেলার চারটি আসন না ফিরে পাব, ততদিন পর্যন্ত আমরা আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে বাগেরহাটে চারটি আসন থাকলেও নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর নতুন গেজেট প্রকাশ করে আসন সংখ্যা কমিয়ে তিনটি করে। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সর্বদলীয় কমিটি লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।