চতুর্থ দিনে মুশফিকের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশচতুর্থ দিনে মুশফিকের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ
লিড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ২৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে লাল-সবুজ বাহিনী। তবে দিনের শেষ বেলায় আর উইকেট হারাতে দেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলি রাব্বি।

তাদের দুজনের দৃঢ়তায় স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ করে তৃতীয় দিন পার করেছে বাংলাদেশ। ফলে লিড দাঁড়ালো ৮৩ রানের। এর মধ্যে ১২ রানে অপরাজিত মুশফিক ও ৮ রানে রাব্বি। আগামীকাল চতুর্থ দিনে নিশ্চিতভাবেই স্কোর আরও বড় করতে চাইবেন এই দুই ব্যাটার। পাশাপাশি বাংলাদেশ দলকেও একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবেন তারা, এমনটাই প্রত্যাশা সমর্থকদের।দিনের সেরা তারকা তাইজুল ইসলাম, তিনি ৭ উইকেট শিকার করে একাই পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামান
এর আগে দিনের তৃতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নামার পর দলীয় ১৪ রানের সময় মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার সাদমান ইসলাম। শাহীন আফ্রিদির এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। পরে রিভিউ নিলেও আর কাজ হয়নি। এর এক বল পরই আবারও শাহীন আফ্রিদির আঘাত। এবার তার শিকার ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। রানের খাতা খোলার আগেই আবদুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই এবার হাসান আলির আঘাত। তার বলে শূন্য রান করে আউট হয়ে যান টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। আজহার আলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এর ১০ রান পরই অপর ওপেনার সাইফ হাসানের বিদায়। শাহীন আফ্রিদির বাউন্সারের বলটি যেন বুঝতেই পারেননি তিনি। ঠেকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। সেটি আফ্রিদি নিজেই ধরেছেন। প্রথম ইনিংসেও একইভাবে আউট হয়েছিলেন সাইফ।তবে শেষ বিকেলের ওই বিপর্যয়টা বাদ দিলে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনটা বাংলাদেশের পক্ষেই গিয়েছে। কারণ, প্রথম দুই সেশনে পাকিস্তানকে ২৮৬ রানেই অলআউট করে দেয় বাংলাদেশি বোলাররা। এর মধ্যে স্পিনার তাইজুল ইসলাম একাই নিয়েছেন ৭টি উইকেট। যার ফলে ৪৪ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।