পবিত্র কাবা শরীফ, হাজরে আসওয়াদ পাথর, হজ এবং ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান নিয়ে প্রকাশ্যে কুরুচিপূর্ণ ও অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
আজ সোমবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন হেফাজতে ইসলাম খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়, সম্প্রতি খুলনা মহানগরীর শিপইয়ার্ড এলাকার লবণচরা জিন্নাহপাড়া ৯ম গলির বাসিন্দা আমজাদের পুত্র মুরাদ বিন আমজাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্মের মৌলিক স্তম্ভ নামাজ, হজ, হাজরে আসওয়াদে চুম্বন, কাবা শরীফ তাওয়াফসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কটূক্তি ও ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মুরাদ হাজরে আসওয়াদ পাথরকে নারীর গোপনাঙ্গের সাথে তুলনা করেছেন, নামাজ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন, হাজরে আসওয়াদ চুম্বনকে মূর্তিপূজার সাথে তুলনা করেছেন এবং তাওয়াফকে পূজার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন। এ ধরনের মন্তব্য শুধু ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতই নয়, বরং তা দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে সহিংসতা উসকে দিতে পারে।
হেফাজত নেতৃবৃন্দ জানান, এসব বক্তব্য বাংলাদেশ সংবিধান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির লঙ্ঘন। তারা অবিলম্বে মুরাদ বিন আমজাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মহানগর সভাপতি মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, সহ-সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দীন কাসেমী, জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ শহিদুল ইসলাম, সদর থানা সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ কাফী, মুফতি জাকির হুসাইন, ইমদাদুল্লাহ আজমী, মাওলানা সাজ্জাদুল্লাহ রায়হানী, মাওলানা মাছুম বিল্লাহ, হাফেজ মাওঃ ফয়জুল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা নূর হুসাইন, মুফতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
হেফাজত নেতৃবৃন্দ জানান, তারা দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় এই দাবি জানাচ্ছেন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে তারা বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হবেন।