/ তেরখাদার ভুজনীয়া-রামচন্দ্রপুর সড়কটিতে জনদুর্ভোগ পৌছেছে চরমে

তেরখাদার ভুজনীয়া-রামচন্দ্রপুর সড়কটিতে জনদুর্ভোগ পৌছেছে চরমে

মফিজুল ইসলাম জুম্মান, তেরখাদা(খুলনা): তেরখাদা উপজেলার ভুজনীয়া-রামচন্দ্রপুর সড়কটি অবহেলিত থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে সীতারামপুর, কালিনগর,মথুরাপুর নামে আরও তিনটি গ্রাম রয়েছে। সড়কটি পাকাকরণের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী বহুবার বহু স্থানে দৌড়ঝাপ দিলেও ফলাফল হয়নি। হিন্দু জনঅধ্যূষিত জনপদ এটি।

এ সড়কের পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসংখ্য বসতবাড়ি। তেরখাদা-খুলনা সড়কের ভুজনীয়া বাঁধ থেকে পশ্চিম দিকে রামচন্দ্রপুর গ্রাম পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬কিলোমিটার। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ইটের সোলিং থাকলেও সংস্কারের অভাবে চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের কিছু অংশ এখনও কাঁচা রয়েছে। সড়কটি এমনিতে অতি সরু। বর্ষা মৌসুম আসলে এ এলাকার মানুষের চলাচলে অসহনীয় দুর্ভোগ বাড়ে। এ সময় একদিকে কাচা অপরদিকে ইটের সোলিং এ কাঁদা জমে পায়ে হেটে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। ইটের সোলিং অনেক জায়গায় খুলে গিয়ে এবং ইট উঠে গিয়ে চলাচলে আরও ঝুঁকি হয়ে দাড়িয়েছে। অবহেলিত জনপদ নামে পরিচিতি লাভ করেছে এ অঞ্চলটি। তেরখাদা উপজেলার প্রায় সকল সড়কের উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত হলেও এ সড়কটি পাকাকরণ করা হয়নি।

এখানকার দু’একটি গ্রাম আছে, যে গ্রামের নাম তেরখাদা উপজেলায় বসবাসকারী অনেকের কাছে নতুন। অবহেলিত গ্রামে বসবাসকারীরা বর্ষা মৌসুমে পানির সাথে লড়াই সংগ্রাম করে বেঁেচ থাকে। নৌকাই তাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। মাত্র কয়েক বছর আগেও নৌকায় চড়ে কোমলমতী শিক্ষার্থী,চাকরিজীবি, নারী, শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ সকল শ্রেণি পেশার লোকদের চলাচল করতে হতো। সড়কের কিছু অংশ ইটের সোলিং দিয়ে উন্নয়ন করা হলেও সড়কটি পাকাকরণ করা হয়নি।

সড়কটি তেরখাদা উপজেলার বারাসাত ইউনিয়নের অর্ন্তগত হলেও এ সড়ক দিয়ে আজগড়া ইউনিয়নের বলরামপুর, শ্রীপুর এবং প্রমোদনগর গ্রামের মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে থাকে। বর্ষা মৌসুমে সড়কের দূরাবস্থার কারণে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত। কয়েক বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করায় এলাকাটি কিছুটা সচল হয়েছে। সড়কের উন্নয়ন না হওয়ায় বিদ্যালয়ে গমনাগমনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কোমলমতী শিশু সন্তানদের। ভুজনীয়া গ্রামে বসবাসকারীদের মাধ্যমিক স্তরে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের রূপসার শিয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাড়িখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় অথবা শ্রীপুর মধুসূদন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যেতে হয়।

সড়কটি পাকা করণ করা হলে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি অর্থের অপচয় থেকে বেঁচে যেত সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ এবং তাদের কোমলমতী স্কুল কলেজ পড়–য়া সন্তানেরা। এসব এলাকায় আকস্মিক অগ্নিকান্ড সংঘটিত ঘটলে অথবা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিলে এমনকি কেউ অসুস্থ হলে দ্রæত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অগ্নিনির্বাপন গাড়ী বা রোগী বহণকারী অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌছাতে সংশ্লিষ্টদের দারুণভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কটি অতি দ্রæত সময়ের মধ্যে পাকাকরণ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী মহল।