/ কেশবপুরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা, খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে পাউবো

কেশবপুরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা, খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে পাউবো

হরিহর নদী কচুরিপনায় ভরে গেছে

আব্দুল হাই সিদ্দিকী, কেশবপুর (যশোর): যশোরের কেশবপুর উপজেলা সদর ও আশপাশের গ্রামগুলো বর্ষার শুরুতে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় দিন গুনছে স্থানীয়রা। এর মূল কারণ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হরিহর নদী কচুরিপনায় প্রায় সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে।


৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ হরিহর নদীর প্রায় ৩৫ কিলোমিটার খননের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করেছে কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে ১৪০ কোটি টাকা। তবে তাৎক্ষণিক জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় আপৎকালীন উদ্যোগ হিসেবে ভাসমান খনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এসডি সুমন শিকদার।
প্রকল্পটির আওতায় কেশবপুর ও ডুমুরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী নূরানিয়া তিন নদীর মোহনা থেকে বালিয়াডাঙ্গা দেবালয় মন্দির পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা। খুলনা মেকানিক্যাল মেশিনারিজ কোম্পানি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে কাজটি বাস্তবায়ন করবে।


অন্যদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বার্ষিক কার্যক্রম অনুযায়ী, আপার ভদ্রা নদীতে কাশিমপুর গ্রামের অংশে দেওয়া ক্রসবাঁধ আজ বৃহস্পতিবার কেটে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। বাঁধ কাটা হলে দ্রæত পানি নিষ্কাশন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সকালেই কাটা হলে বিকেল নাগাদ পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।


তবে স্থানীয়রা বলছেন, হরিহর নদীজুড়ে জমে থাকা কচুরিপনা অপসারণ না করা পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত পানি নিষ্কাশন সম্ভব নয়। এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন জানান,মনিরামপুর থেকে বিশেষজ্ঞদের এনে কচুরিপনার মূল শিকড় বা লেজ কেটে ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবেন।


গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে কেশবপুর পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকা ইতোমধ্যেই আংশিকভাবে প্লাবিত হয়েছে। হরিহর নদীর কার্যকর খনন ও কচুরিপনা অপসারণ না হলে আগামী দিনে বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।