/ ডুমুরিয়ায় উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে স্লুইস গেটগুলো আকেজো, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে পানিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি

ডুমুরিয়ায় উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে স্লুইস গেটগুলো আকেজো, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে পানিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি

ডুমুরিয়ায় উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে স্লুইস গেটগুলো আকেজো থাকায় কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি ও জোয়ারে পানিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডুমুরিয়া সদরের জোয়ারের বিল তলিয়ে নিচু এলাকার রাস্তা তলিয়েছে, টিপনা এলাকায়, বিল সিংঙ্গা, মাধবকাঠি, শেয়ারঘাটা আবাসন এলাকা ও বয়ারশিং, আধারমানিকসহ বিভিন্ন এলাকার নিচু অঞ্চলে পানি সরানো ব্যবস্থা না থাকায় পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।


এতে এসকল এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার মাছের ঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই সব এলাকায় নদী ও খালগুলো ভরাট হওয়ায় কয়েক বছর যাবত বর্ষা মৌসুম আসলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আধারমানিক ও বয়ারসিং গ্রামের অন্তত ৪শ পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার। এলাকায় অতিদ্রুত একটি স্লুইস গেট নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।


জানা যায়, উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের বিল সংল্গগ্ন নিচু এলাকা আধারমানিক ও বয়ারশিং গ্রাম দুইটি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই সামান্য বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়। এলাকায় প্রায় ১ হাজার একর জমি রয়েছে। যেখানে বসতি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের। পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা না থাকার কারণে এলাকার বসবাসরত মানুষদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আধারমানিক একেবিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিও পানিতে নিমজ্জিত।

বয়ারশিং গ্রামের সরোজ মন্ডল জানান, একদিকে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে সুন্দরবুনিয়া ও খলসিবুনিয়া এলাকার কিছু অসাধু ঘের ব্যবসায়ী তাদের মাছ চাষের সুবিধার্থে বিলে জোয়ারের পানি ঢুকায়। যার কারণে ব্যাপকভাবে প্লাবন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার শ্যামল মন্ডল জানান, পানিতে তলিয়ে তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানির চাপে এলজিইডি কর্র্র্তৃক সদ্য নির্মাণাধীন রাস্তার এক জায়গায় ভেঙে গেছে। মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ডুমুরিয়া সদরের মহিলা কলেজের পাশে স্লুইস গেটের সামনে নদী খনন করে পলি অপসারণ করা হলেও স্লুইস গেট দিয়ে পানি সরছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। গেটে সেচ পাম্পের একটা ব্যবস্থা থাকলেও তা অকেজো। এর ফলে বাজারসহ উপজেলার পিছনে আরাজি সাজিয়াড়ার রাস্তায় পানি জমাট বেধেছে এবং জোয়ারের বিল তলিয়ে ঘেরগুলো একাকার।

আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন আধারমানিক ও বয়ারসিং এলাকায় জলাবদ্ধতার বিষয়ে বলেন, পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় অঞ্চলটি সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয়। তালতলা রেগুলেটরের মুখে পলি ভরাট হওয়ার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আপদকালীন সময় দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য আধারমানিক ওয়াপদা বাঁধে পাইপ স্থাপন করা হচ্ছে। এখান দিয়ে পানি নিষ্কাশন হলে আশাকরি দু’এক দিনের মধ্যেই পানি কিছুটা হলেও কমবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন গত শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন অতি গ্রুত গেটের মুখের পলি অপসারণের। আর যারা মাছ চাষের সুবিধার্থে জোয়ারের পানি বিলে ঢুকিয়েছে তাদেরকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি (ইউএনও)।